খুব সস্তায় তিনটি উপকরণ রয়েছে, যা রান্নায় ব্যবহার করলে, তার স্বাদ অবিকল পোস্তর মতোই। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো হলেও, এই তিনটি উপকরণ পোস্তর দুঃখ কিছুটা হলেও ভোলাবে।
পোস্ত খেতে ভালবাসেন না এরকম মানুষ হাতে গোনা। কিন্তু সাধ থাকলেও, সাধ্য নেই। কারণ আগুন দামে মধ্যবিত্তের পকেট পোড়াচ্ছে পোস্ত। ২০০০ টাকা কিলো পোস্ত কিনে খাওয়ার উপায় প্রায় নেই বললেই চলে।
পোস্তর বড়া, আলু পোস্ত বা ঝিঙে পোস্ত হরেকরকম সুস্বাদু পদ হয় এই পোস্ত দিয়ে। আবার কখনও মাছের ঝাল বা মাংসেও দেওয়া হয় পোস্ত বাটা। পোস্ত ছাড়া বাঙালি যেন কিছুতেই ভাবতে পারে না। ভিন রাজ্য হোক বা দেশ সব জায়গাতেই পোস্ত তাদের চাই। কিন্তু, পোস্তর দাম এখন এতটাই বেশি যে তার স্বাদ প্রায় ভুলতেই বসেছেন অনেকেই। খুচরো বাজারে ২ হাজার টাকা পেরিয়ে গিয়েছে পোস্তর দাম।
কিন্তু জানেন কী, খুব সস্তায় (inexpensive ingredients) তিনটি উপকরণ রয়েছে, যা রান্নায় ব্যবহার করলে, তার স্বাদ অবিকল পোস্তর (poppy flavor) মতোই। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো হলেও, এই তিনটি উপকরণ পোস্তর দুঃখ কিছুটা হলেও ভোলাবে। আর এই উপকরণগুলির দামও বেশি নয়।
১. চিনা বাদাম বাটা: বাচ্চাদের জন্য চিনা বাদাম খুবই উপকারী। পাশাপাশি বড়দের জন্যও বটে। চিনা বাদামের মধ্যে রয়েছে ন্যাচারাল তেল। যা আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। রান্নায় পোস্তর বদলে আপনি এই চিনা বাদাম বাটা অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন। আর এতেও আপনার রান্নার স্বাদ খুব ভালো হবে।
২.সাদা তিল বাটা: যাদের ডায়াবেটিস ও ওভারিয়ান এর সমস্যা আছে তাঁদের জন্য সাদা তিল খাওয়া খুবই উপকারী। এছাড়াও যেসব মেয়েদের পিরিয়ডের সমস্যা আছে তাঁদের জন্যও তিল খাওয়া খুবই ভালো। রান্নায় পোস্তর বদলে তিল ব্যবহার করতেই পারেন। পোস্তর মতো স্বাদ না হলেও খেতে যে খুব একটা বাজে হবে না তা হলফ করে বলা যায় বৈকি।
৩.চারমগজ বাটা: রান্নায় ব্যবহৃত চারমগজ বাটা হল আসলে তরমুজের বীজ। সাদা তিল এর পাশাপাশি চারমগজও শরীরের জন্য খুবই উপকারী। পোস্তর বদলে রান্নায় চারমগজও দেওয়া যায়। আর তাতেও রান্নার স্বাদ হয় অসাধারণ।