গরমে ঘেমে গিয়ে চুল ভিজে ফ্যাশনের বারোটা! জানুন কী করবেন, কী করবেন না

  • বাড়ি থেকে যতই নিখুত সেজে বেরোন, কিছুটা রাস্তা হাঁটলেই সেই সুন্দর করে বাঁধা চুল তখন পাখির বাসা।
  • মূলত মাথায় স্ক্য়াল্পে ঘাম বসে এই সমস্য়া হয়। চুলের গোড়া তেলতেলে হয়ে যায় আর ডগা ড্রাই হতে থাকে।
  • গরম কালে যতই স্ক্য়াল্প ঘেমে চুল ভিজে যাক, সেই সমস্য়ারও সমাধান রয়েছে। জেনে নিন কী কী করবেন

swaralipi dasgupta | Published : May 8, 2019 1:19 PM IST

আলমারি ভর্তি বাহারি জামা আর নানা রকমের মেকআপ। কিন্তু এত সাজ পোশাক দিয়ে কীই বা হবে যদি হেয়ারস্টাইলই ঠিক না থাকে। চুল নিয়ে কবি সাহিত্য়িকদের লেখায় কত রকমের বর্ণনা রয়েছে। কিন্তু সেই চুলই যদি ঠিক না থাকে তা হলে পুরো সাজই মাটি। আর গরম কালে এই সমস্য়া রোজকার। বাড়ি থেকে যতই নিখুত সেজে বেরোন, কিছুটা রাস্তা হাঁটলেই সেই সুন্দর করে বাঁধা চুল তখন পাখির বাসা। মূলত মাথায় স্ক্য়াল্পে ঘাম বসে এই সমস্য়া হয়। চুলের গোড়া তেলতেলে হয়ে যায় আর ডগা ড্রাই হতে থাকে। আর সেই জন্য়ই গরম কালে ফ্যাশন নামক জিনিসটিকে বুকে পাথর রেখে বিদায় জানাতে হয়। 

তবে এভাবে কি বিদায় জানাব বললেই জানানো যায়! কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে হোক বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় সাজগোজে আপনি কেন্দ্রে থাকবেন না, তা কি হতে পারে। আর জেনে রাখবেন সব সমস্য়ারই সমাধান হয়।  তাই গরম কালে যতই স্ক্য়াল্প ঘেমে চুল ভিজে যাক, সেই সমস্য়ারও সমাধান রয়েছে। জেনে নিন কী কী করবেন- 

১) গরমে হেয়ার স্ট্রেটনার, হিট ড্রায়ার, ইত্যাদি স্টাইলিং মেশিন কম ব্যবহার করবেন না। এই মেশিনগুলি ব্যবহার করলে স্ক্যাল্প অয়েলি হয়ে পড়ে। এই ধরনের স্টাইলিং মেশিন ব্যবহারে রোমকূপে খুশকির সমস্যাও হয়। এছাড়া চুলের ডগাও ড্রাই হয়ে যেতে থাকে। 
২) হেয়ার মাস্ক ব্য়বহার করুন অবশ্যই । দোকানে বিভিন্ন হেয়ার মাস্ক কিনতে পাওয়া যায়। এছাড়া বাড়িতে নিজে হেয়ার মাস্ক তৈরি করে ব্যবহার করুন। এতে চুল সুস্থ ও পরিষ্কার থাকবে। চুলের গোড়া পরিষ্কার থাকলে ঘামের সমস্যাও কম হবে। গরমে চুলের গোড়া পরিষ্কার রাখলেই অনেক সমস্য়া এড়ানো যায়। 
৩) স্ক্য়াল্পের ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে সপ্তাহে ২-৩ দিন গোলাপ জল দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন ভাল করে।  এছাড়া চুল ঘেমে র্দুগন্ধ হয়। গোলাপ জল চুলে দুর্গন্ধও হতে দেয় না। ঠান্ডা গোলাপ জল ব্যবহার করলে আরও ভাল ফল পাবেন।
৪) স্ক্যাল্পকে সুস্থ সতেজ রাখতে সাহায্য করে এসেনশিয়াল অয়েল। তাই যে কোনও এসেনশিয়াল এঅয়েল ব্য়বহার করুন। যেকোনও সাধারণ তেলের সঙ্গে ২-৩ ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে স্ক্যাল্পে মালিশ করুন এবং ধুয়ে নিন। এতে ঘাম নিয়ন্ত্রিত থাকবে। 
৫) খুব অয়েলি স্ক্যাল্প হলে একদিন অন্তর শ্যাম্পু করুন।  তাড়াহুড়ো থাকলে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এতে চুলের গোড়া তেলতেলে লাগবে না। তবে রোজ ড্রাই শ্য়াম্পু ব্য়বহার করবেন না। 
৬) অনেকের চুল মাত্রাতিরিক্ত ঘামে। সেক্ষেত্রে ফ্যাশনে টুইস্ট আনতে হবেষ মাথায় স্কার্ফ বা ব্য়ান্ডানা বেঁধে স্টাইল করতে পারেন। এতে নতুন লুকও তৈরি হবে। 
৭)  শ্য়াম্পু করার আগে চুলের গোড়ায় ভিনিগার লাগিয়ে নিন। ভিনিগার মরা কোষগুলিকে দূর করে ফলে স্ক্যাল্পে ঘাম বসতে পারে না। 
৮)চুলের গোড়া ভিজে থাকা অবস্থায় বাইরে বেরবেন না। ঘামের সঙ্গে জল বসে চুল আরও খারাপ হয়ে যায়। 

Share this article
click me!