মেকআপের কাজ আপনার খুঁতগুলো ঢেকে মুখের সৌন্দর্য নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা। এর মানে এই নয় যে সব সময় অনেক বেশী মেকাপের প্রয়োজন। অল্প মেকাপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করেই আপনি হয়ে উঠতে পারেন আকর্ষণীয়। প্রায় বেশিরভাগ মেয়েরাই কম বেশি মেকআপ করে থাকে। তবে অনেকেরই ধারনা নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে অনেক ভারী মেকআপ করতে হয়। জানলে অবাক হবেন, খুব অল্প মেকআপ করেও নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়। জেনে নিন মেকআপের সেই খুঁটিনাটি নিয়মগুলি।
আরও পড়ুন- মাত্র ৪ টি সহজ কাজ, কমাতে পারে আপনার বাড়তি ওজন
মেকাপের আগে স্কিনকে ক্লিঞ্জং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং অবশ্যই করে নিন। মেকাপের জন্য একটি মসৃণ বেজ অত্যন্ত জরুরি। এর জন্য প্রাইমার অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। প্রাইমার মেকাপকে লং লাস্টিং করতেও সাহায্য করে। আপনি চাইলে ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ প্রাইমার ব্যবহার করতে পারেন। এতে আলাদা করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে না। এজন্য, স্মাশবক্স ফটো ফিনিশ প্রাইমার, ই.এল.এফ হাইড্রেটিং প্রাইমার ভালো কাজে দেয়। পুরও মুখে ফাউন্ডেশনের থেকে বেশী দরকার একটি ফুল কভারেজ কনসিলার। যেটা অবশ্যই স্কিনের সঙ্গে মানানসই হতে হবে। কনসিলারটি শুধুমাত্র মুখে যেখানে ডার্ক সার্কেল অথবা স্পট আছে ওইসব জায়গাতে লাগান এবং ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে নিন। কনসিলারটি ফুল কভারেজ হওয়ায় সব দাগ ছোপ পুরোপুরিভাবে ঢেকে দেয়। যার ফলে আর ফাউন্ডেশন ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়বে না। স্কিনও দেখতে ন্যাচারাল এবং সতেজ লাগবে।
আরও পড়ুন- এই মরশুমে সুস্থ থাকতে, পাতে রাখুন এই স্যালাড
কনসিলারটি সেট করে নেওয়ার জন্য ফেস পাউডার নিয়ে ব্রাশের সাহায্যে পুরো মুখে লাগান। যেহেতু মুখের কিছু কিছু জায়গায় কনসিলারটি লাগিয়েছেন, তাই মুখে সামঞ্জস্যতা আনার জন্য পুরো ফেসেই পাউডার ব্যবহার করে নিন। ভারী কোনও মেকআপ না করলে ক্রিম কন্টুরিং এবং হাইলাইটিং এর দরকার নেই। চাইলে ব্রাশের সাহায্যে হালকা পাউডার চিক বোনের নিচে, নাকে এবং কপালে কন্টুরিং করে নিন। এতে আপনার মেকআপ ভারী লাগবে না। চাইলে হালকা ব্লাশও লাগিয়ে নিতে পারেন। হাইলাইটিং পাউডার এর পরিবর্তে ব্যবহার করুন লিকুইড হাইলাইটারল অথবা ইল্যুমিনেটর। এটি আপনার মুখে একটি ন্যাচারাল গ্লো দেবে যা দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগবে।