Travel Tips: এই প্রতিবেদনে ভারতের এমন তিনটি সুউচ্চ জলপ্রপাতের কথা জানবেন, বর্ষায় যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে নিস্পলক রেখে দিতে পারে। তাই বর্ষায় কোথায় ঘুরতে যাবেন বুঝতে না পারলে দেখে আসুন এই জলপ্রপাতগুলি।

Travel Tips: ভৌগোলিক বৈচিত্রে ভরপুর ভারত। পাহাড়, মরুভূমি, ঘন অরণ্য থেকে নদী এক অনন্য প্রাকৃতিক আশ্চর্য হল জলপ্রপাত। বিশেষ করে বর্ষাকালে এই জলপ্রপাতগুলি হয়ে প্রকৃতির আশ্চর্য রূপ।

এই প্রতিবেদনে আমরা ভারতের তিনটি সর্বোচ্চ জলপ্রপাত সম্পর্কে জানবো, যেগুলির উচ্চতা, রূপ পর্যটকদের কাছে স্বপ্নের গন্তব্য।

১। কুঞ্চিকল জলপ্রপাত, কর্নাটক

অ্যাডভেঞ্চারের শখ থাকলে এই বর্ষায় কর্নাটকের অগুম্বে শিমোগা জেলায় অবস্থিত কুঞ্চিকল যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন। ঘন সবুজ অরণ্যের মধ্যে দিয়ে, সশব্দে নিজের অস্তিত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বয়ে আসা সাদা জলধারা পাহাড় বেয়ে নামার সময় জ্বলীয়বাষ্পে ঢেকে স্নান করিয়ে দেয় চারপাশ। এই দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। ভারতের এই সর্বোচ্চ জলপ্রপাতের উচ্চতা ৪৫৫ মিটার।

তবে হ্যাঁ, এই জলপ্রপাত দেখতে গেলে আগাম অনুমতি নিতে হয়, কারণ এটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় পড়ে।

কীভাবে যাবেন?

বিমানে গেলে সবচেয়ে কাছাকাছি পড়বে মেঙ্গালুরু বিমানবন্দর। অথবা ট্রেনে উদুপি রেল স্টেশন। সেখান থেকে গাড়ি বা ট্যাক্সিতে কুঞ্চিকল পৌঁছনো যায়।

২। বরেহপানি জলপ্রপাত, ওড়িশা

ওড়িশার সিমলিপাল জাতীয় উদ্যানের ভিতরে রয়েছে বরেহপানি জলপ্রপাত। প্রায় ৩৯৯ মিটার উঁচু। দুই ধাপে ভেঙে পড়া জলধারা এবং তার গর্জন বহু দূর থেকে তবে আনবে আপনাকে। ভরা বর্ষায় সেখানে যাওয়ার ছাড়পত্র মেলে না। বর্ষার পরে সেপ্টেম্বরের শেষে কিংবা অক্টোবরে এর রূপ চোখ ধাঁধানো।

কীভাবে যাবেন?

সিমলিপাল জাতীয় উদ্যান প্রবেশ পথ দুটো, বারিপদা আর জসিপুর। কলকাতা থেকে গেলে দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটার, আর ভুবনেশ্বর থেকে গেলে বারিপদা বা জসিপুর, দুয়েরই দূরত্ব ২৫২ কিলোমিটার।

৩। নোহকালিকাই জলপ্রপাত, মেঘালয়

ভারতের সবচেয়ে উঁচু একধারার জলপ্রপাত নোহকালিকাই জলপ্রপাত। ৩৪০ মিটার উঁচু থেকে পাথরের গা বেয়ে নেমে আসা দুধসাদা নোহকালিকাইয়ের ফেনিল জলপ্রবাহ মেঘালয়ের বড় আকর্ষণ। পাহাড়ের গা বেয়ে রয়েছে সিঁড়ি। সেখান দিয়ে জলপ্রপাতের নীচ পর্যন্ত যাওয়া যায়। বর্ষায় এই ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য আপনাকে পলক ফেলতে দেবে না।

কীভাবে যাবেন?

বিমানে হোক বা ট্রেনে গুয়াহাটি পৌঁছে, সড়কপথে যেতে হবে মেঘালয়, চেরাপুঞ্জি, দূরত্ব ১৬৫-১৭০ কিলোমিটার মতো। এছাড়াও শিলং থেকেও যাওয়া যায়।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।