২ দিনের ছুটিতে মেঘের মাঝে হারাতে চান! ছোট্ট নেপালি গ্রাম, ঠিকানা বিস্তারিত রইল

Published : Jul 14, 2025, 05:36 PM IST
Quiet hill stations in India

সংক্ষিপ্ত

ব্যস্ত জীবনের মাঝে দুদিন ছুটিতে পাহাড়ে মন হারাতে চাইলে সান্দাকফুর এই ছোট্ট জনপদ আপনার জন্য আদর্শ। ক্যামেরা ভর্তি স্মৃতি আর পাহাড়ি পরিবেশে ট্রেক আপনার মন ভালো করতে বাধ্য।

যান্ত্রিক জীবনের ব্যস্ততা থেকে দূরে একটু বৃষ্টি ভেজা পাহাড়ি প্রকৃতিতে হারিয়ে যেতে কার না মন চায়! অল্প ছুটির মধ্যেই যারা এক ঝলক হিমালয় দেখতে চান, তারা যেতেই পারেন হিমালয়ের কোলে সান্দাকফু যাওয়ার পথে ছোট্ট জনপদ টুমলিং। মেঘেদের মাঝে পাহাড়ি গ্রাম টুমলিং আপনার এবারের স্বল্প বাজেটের গন্তব্য হতে পারে।

টুমলিং পূর্ব নেপালের ইলাম জেলার পাহাড়ি গ্রাম। এর জাতীয় সড়ক বাদে সম্পূর্ণ বসতি নেপালের অন্তর্গত।রডোডেনড্রনের বাগানে ঘেরা মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে মাত্র ২০-২৫টি বাড়ি নিয়ে বসতি, তার মাঝেই কয়েকটা মাত্র হোম স্টে। ভ্রমণপ্রিয় মানুষদের আনাগোনার জন্য পর্যটনশিল্পকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে টুমলিংয়ের বসতি।

দিন আর রাতের টুমলিং এর সৌন্দর্য আলাদা। এখানেই আপনি দেখতে পাবেন বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট সহ কাঞ্চনজঙ্ঘা, লোৎসে ও মাকালু। টুমলিং-এ ঘুরতে যাওয়ার সেরা সময় শীতের শুরু বা বা শেষ, অর্থাৎ অক্টোবর–নভেম্বর বা মার্চ–এপ্রিল। জুন-আগস্ট মাসেও যেতে পারেন বৃষ্টি ভেজা সতেজ টুমলিং-এর পাহাড়ি ঝরনার রূপ দেখতে, তবে কাদায় মুশকিল হতে পারে।

কীভাবে পৌঁছাবেন টুমলিং?

হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে উঠে নিউ জলপাইগুড়ি (NJP) পর্যন্ত যান। NJP থেকে গাড়ি ভাড়া করে চলে যান মানেভঞ্জ্যাং (Maneybhanjyang) – সময় লাগবে প্রায় ৪ ঘণ্টা।

এবার মানেভঞ্জ্যাং থেকে টুমলিং আবার গাড়ি (মূলত ল্যান্ডরোভার) করে পৌঁছে যান টুমলিং, সময় লাগবে ১-১.৫ ঘণ্টা।

কোথায় থাকবেন?

টুমলিং এবং সান্দাকফু উভয় জায়গাতেই পর্যটকদের জন্য হোমস্টের সুব্যবস্থা রয়েছে।তবে টুমলিং -এ ছ’-সাতটা হোমস্টে পাবেন মাত্র। পছন্দ মতো কোন একটি হোম স্টে আগের থেকে বুক করে গেলে ভালো হবে।

টুমলিং থেকে কোথায় কোথায় ঘুরবেন?

১। মেঘমা

টুমলিং থেকে হেঁটে বা গাড়িতে যেতে পারবেন মেঘমা। নেপালি মনেস্ট্রি ও স্থানীয় গ্রাম ঘুরে দেখতে পারেন।

২। টংলু ভিউ পয়েন্ট

টুমলিং থেকেও উঁচু এই ভিউ পয়েন্ট থেকে হিমালয়ের অসাধারণ ভিউ দেখতে পাবেন। সান্দাকফু যাওয়ার পথেই পড়বে।

৩। মানেভঞ্জ্যাং

সান্দাকফু ট্রেকের গেটওয়ে মানেভঞ্জ্যাং, ছোট্ট পাহাড়ি শহর। এখানে থেকে পাহাড়ি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার অবকাশও পাবেন।

৪। সান্দাকফু

সান্দাকফু পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ (১১,৯৩০ ফিট)। এখান থেকে “স্লিপিং বুদ্ধা” রেঞ্জ দেখতে পারবে, ট্রেকিং-এও যেতে পারবেন হাতে সময় নিয়ে গেলে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

ভারতের ৬টি অনবদ্য জলপ্রপাত
শীতকালে বাচ্চাদের ঘুরতে নিয়ে যেতে পারেন এই কয়টি জায়গায়, রইল সেরা ভ্রমণের ঠিকানা