
Travel Guide Tips: কিশোর কিশোরীদের এই একটা দুর্গাপুজোর সময় প্রাণ খুলে একটু ঘোরাফেরা একটু খাওয়া দাওয়া একটু বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দেওয়া এবং রাতে ঠাকুর দেখার সুযোগ আসে। তাছাড়া তো বছরের বাকি দিনগুলো স্কুল, পড়াশোনা, মা-বাবার শাসনে দিন কেটে যায় তাদের।
পুজো মানেই বাঁধন মুক্তো হয়ে সময় কাটানোর সুযোগ পায় তারা। তাই পুজোয় রাত জেগে ঠাকুর দেখার পরিকল্পনা করে কেউ কেউ। কিশোর সন্তান তার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে পুজোয় কোনও পরিকল্পনা করবে না, তা আবার হয় নাকি?
তবে কি কি সাবধানতা এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে?
* প্রথমেই জেনে নিন আপনার সন্তান কার সঙ্গে যাচ্ছে। বন্ধুদের ফোন নম্বর নিতে ভুলবেন না। খুব অচেনা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বেরতে না দেওয়াই ভালো।
* কোনদিকে আপনার সন্তান যাচ্ছে, তাও জেনে নিন। রাস্তাঘাট না চিনলে, সে সম্পর্কে তথ্য দিন। নইলে রাস্তায় বেরিয়ে বিপদে পড়তে পারে আপনার সন্তান।
* না জানিয়ে অন্য কোথাও যেতে বারণ করুন সন্তানকে। তাতে সে অযথা বিপদে পড়তে পারে।
* সন্তান কোথায় যাচ্ছে বা না যাচ্ছে কোথায় আছে কখন ফিরবে বা সব রকম দিক থেকে যোগাযোগে থাকার জন্য তার হাতে স্মার্টফোন দিন। বিপদে পড়লে প্রথমে বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলুন।
* কারও সঙ্গে অযথা ঝগড়াঝাটি কিংবা বিতর্কে যাতে সে না জড়ায়, তা বুঝিয়ে বলুন।
* কিশোর সন্তান রাত জেগে ঠাকুর দেখতে বেরবে। খাওয়াদাওয়াও করবে বাইরে। তাই তার হাতে টাকা দিন। তবে অতিমাত্রায় কোন টাকা পয়সা দেবেন না। যেটুকু প্রয়োজন সেটুকুই দেবেন। টাকা কোথায় কীভাবে খরচ হল, সে বিষয়ে তাকে জানাতে হবে – আগে থেকেই তা বলে দিন। বাড়ি ফেরার পর তার থেকে খরচের বিস্তারিত হিসাব নিন।
* বাড়ি ফেরার পর কিশোর সন্তানের সঙ্গে গল্পগুজব করুন। কোথায় গেল, কী করল, কী খেল – সে সম্পর্কে গল্পের ছলে জানতে চান। এই সুযোগে আপনার ও আপনার সন্তানের মধ্যে সম্পর্কের যেমন উন্নতি হবে, তেমনই আবার তার গতিবিধি সম্পর্কে সম্যক ধারণাও তৈরি হবে।
* কৈশোরে মনে নানা উথালপাতাল চলে। তবে মনের কোণে উঁকি দিতে থাকে প্রেম, ভালোলাগা। আবার তার দিক থেকে সাড়া না পেলে যন্ত্রণা। এই সময়ে তাই আবেগের বশে অনেক কিছু করে ফেলে কেউ কেউ। আবেগ সামলে রাখার পরামর্শও দিতে ভুলবেন না। তাতে পুজো শুধু নয়, সারাজীবনে উপকৃত হবে সে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।