
Travel Tips: অবসর পেলেই ঝোলা কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন অচেনা গন্তব্যের সন্ধানে? যদি তাই হয় এবং নদী-পাহাড়-জঙ্গলের নৈসর্গিক ক্যানভাসে যদি যোগ করতে চান নিরবচ্ছিন্ন নির্জনতা, তাহলে আপনার ছুটিতে আপনার পছন্দের গন্তব্য হতে পারে দার্জিলিং জেলার ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামগুলি।
পুজোর সময় ঘুরতে যেতে সকলের চায়। ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান হলেই, সবার আগে মাথায় আসে উত্তরবঙ্গের কথা। কিন্তু উত্তরবঙ্গে গেলে এখন প্রচন্ড ভিড় হয়। এবার এই ভিড় এড়িয়ে ঘুরতে যেতে পারেন দার্জিলিংয়ের খুব কাছের কিছু নিরিবিলি পাহাড়ি গ্রামে।
বালাসুন নদী এবং মুরমা খোলার সঙ্গমস্থলে ছোট্ট গ্রাম বুংকুলুং। মিরিক-কার্শিয়াং যাতায়াতের জন্য যে নতুন রাস্তাটি তৈরি হয়েছে, সেই রাস্তা এই গ্রামের মধ্যে দিয়েই গিয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি সুন্দর হোমস্টে এবং হোটেল রয়েছে এই গ্রামে। যাওয়ার আগে বুক করে নিতে পারেন অথবা পৌঁছেও ঘর খুঁজতে পারেন। খুব বেশি পর্যটকের পা পড়েনি বুংকুলুং-এ। তাই নিরিবিলিতে সময় কাটাতে পারেন এই গ্রামে। ঘুরে আসতে পারেন মিরিক লেক থেকেও।
পাইন গাছের ঘন বনে ঘেরা উত্তরবঙ্গের গ্রাম। নিরিবিলিতে বসে তিস্তা নদীর গর্জন এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার শ্বেতশুভ্র সৌন্দর্য, দুই-ই এখান থেকে উপভোগ করার মতো। বার্মিক থেকেই ঘুরে আসা যায় রামধুরা, ইচ্ছেগাঁওয়ের মতো গ্রাম থেকেও।
চা বাগানের মধ্যে পোস্টকার্ডের মতো সুন্দর এই গ্রাম। অনেকে দার্জিলিং থেকেও এক দিনের জন্য এই গ্রামে ঘুরে আসেন। ঘুম থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রামটি। রাস্তায় পড়বে পাহাড়ি ঝর্না, চা বাগান এবং জঙ্গল।
দার্জিলিং শহরে ফেলে রাখা গোর্খার স্টেডিয়ামের কাছেই অবস্থিত লেবং। জানা যায় ১৮৫০ এর দশক থেকে দার্জিলিং এর চাষ শিল্পীর সঙ্গে এই গ্রাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। আপনি যদি চা বাগানের মাঝেই রাত কাটাতে চান। তাহলে লেবং উপযুক্ত জায়গা।
দার্জিলিং থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মেঘে ঢাকা পাহাড়ি গ্রাম। লম্বা লম্বা পাইন গাছ এবং চা বাগান ঘেরা এই গ্রামে সবুজের শান্তি পাবেন পর্যটকেরা। দাওয়াইপানিতে ট্রেকিং, হাইকিং করতে পারেন। আবার পাখি দেখার নেশা থাকলে এটি তার উপযুক্ত জায়গা।
এখনও খুব বেশি জনপ্রিয় হয়নি মুলখারকার নাম। সম্ভবত সেই কারণেই জায়গাটির সৌন্দর্য এখনও অক্ষত। মুলখারকা গ্রামের একেবারে উপরে একটি ঝিল রয়েছে। সেই জলে কাঞ্চনজঙ্ঘার প্রতিচ্ছবি দেখার সৌভাগ্য হলে আপনার ভ্রমণ সার্থক। ঝিলের ধারে রয়েছে শিব মন্দির। সেখানে পুজো হয়, গ্রামীণ মেলাও বসে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।