আপনি চান আপনার সন্তান জীবনে সাফল্য় লাভ করুক। কিন্তু কোন পথে তা সম্ভব তা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত। কেউ ভাবেন সন্তানের ওপর জোর করে কিছু চাপিয়ে দিলেই বোধহয় বড় হয়ে ও সফল হবে। কেউ ভাবেন, জোর করে কিছু না-চাপিয়ে ওর সিদ্ধান্তের ওপরই ওর ভবিষ্য়ৎ ছেড়ে দেওয়া উচিত।
সত্য়ি, কোনপথে যে সন্তানের সাফল্য় আসবে, তা ঠিক করা বড়ই মুশকিল। তবে মনোবিদরা জোর দেন গণতান্ত্রিক অভিভাবকত্বের ওপর। যাকে ইংরিজিতে বলে, ডেমোক্র্য়াটিক পেরেন্টিং। অর্থাৎ মাঝারি শাসন আর মাঝারি প্রশ্রয়ের মধ্য়ে রাখতে হবে সন্তানদের ছোট থেকেই। আদরে বাঁদর তৈরি করাও যেমন চলবে না, তেমন মিলিটারি শাসনও ঠিক নয় পরিবারে। আরও কিছু জিনিস ছোট থেকে মাথায় রাখা উচিত। তবেই শিশু বড় হয় সাফল্য় পেতে পারে। ছোট ছোট এই জিনিসগুলোই কিন্তু ভবিষ্য়তের পথ তৈরি করবে।
সন্তানকে নিজের আগ্রহের জিনিস খুঁজে নিতে দিন। সন্তানকে নানারকমের অভিজ্ঞতার মুখে দাঁড় করান। প্রয়োজনে ওকে ভুল করার অধিকারও দিন। সন্তানকে প্রশ্ন করতে দিন, তাতে করে বিরক্ত হবেন না। কারণ জানবেন, ও কিন্তু নিজের কৌতূহল পূরণের জন্য়ই প্রশ্ন করে। কোনও কিছু শেখাবার জন্য় সন্তানকে চাপ দেবেন না। বরং ওর মধ্য়ে আগ্রহ গড়ে তুলুন। ওকে ওর দক্ষতা ও যোগ্য়তা অনুযায়ী বিকাশের পরিবেশ তৈরি করে দিন শুধু। বাকিটা ও-ই পারবে। সন্তানকে কোনও কিছু তকমা দিয়ে তার ক্ষমতা সীমায়িত করবেন না। ধরুন, যদি বলতে থাকেন, ও অঙ্কে কাঁচা, তাহলে কিন্তু কোনওদিনই ওর অঙ্কভীতি যাবে না। বা যদি বলেন, ও এগুলো খেতে ভালোবাসে না, তাহলে কিন্তু ও নিজেও বুঝে যাবে, ওইগুলো না-খেলেও ও দিব্য়ি পার পাওয়া যায়।
পরিবারের মধ্য়েই কিছু কর্মসূচি নিন। খেলা বা অনুষ্ঠান করুন। পরিবারের সকলে মিলে একসঙ্গে কিছুক্ষণ অন্তত নিজেদের মতো করে সময় কাটান। গান করুন, গল্প করুন। শুধুই যেন বোকাবাক্সকেন্দ্রিক না হয়ে যায় সবকিছু। দেখবেন, কোন ফাঁকে ওর সাফল্য়ের পরিবেশ তৈরি হয়ে গিয়েছে।