মিডডে মিলে গরমিল প্রধান শিক্ষকের, হানা দিয়ে কাগজ বাজেয়াপ্ত করে শোকজ বিডিও-র

  • প্রত্যন্ত এলাকায় দেখার কেউ নেই
  •  সুযোগ নিয়ে মাসের পর মাস বন্ধ মিড ডে মিল
  •  যা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল স্থানীয়দের
  •  বিদ্যালয়ে এসে না খেয়েই ঘুরে যাচ্ছিল ছাত্রছাত্রীরা 

Asianet News Bangla | Published : Feb 12, 2020 5:54 PM IST / Updated: Feb 20 2020, 12:00 AM IST

প্রত্যন্ত এলাকায় দেখার কেউ নেই। সুযোগ নিয়ে মাসের পর মাস বন্ধ মিড ডে মিল। যা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল স্থানীয়দের। বিদ্যালয়ে এসে না খেয়েই ঘুরে যাচ্ছিল ছাত্রছাত্রীরা। বুধবার এলাকায় লোকজন সমবেত হয়ে বিক্ষোভ দেখাতেই খবর পেয়ে ছুটে যান বিডিও ৷ বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের খাতাপত্র বাজেয়াপ্ত করেন। শোকজ করেন প্রধান শিক্ষককে ৷ ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থানার গোপীনাথপুর এলাকার ৷

মা হওয়ার ইচ্ছাকে মান্য়তা দিল কোর্ট, স্বামীর কাছে বদলির নির্দেশ শিক্ষিকাকে

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার  গড়বেতা ৩ ব্লকের  চন্দ্রকোনা রোড আমশোল অঞ্চলের গোপীনাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই অচলাবস্থা দীর্ঘদিনের।জানা গিয়েছে, গোপীনাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৫ জন ছাত্রছাত্রী, ২ জন শিক্ষক। অথচ মিড ডে মিলের রান্নাই হয়নি বেশ কিছুদিন বলে অভিযোগ। ছেলেমেয়েরা বিদ্যালয়ে গিয়েও না খেয়ে চলে আসতো ৷ গরিব গ্রামবাসীরা তেমন প্রতিবাদ না করায় মাসের পর মাস সমস্যাটি চলছিল ৷ গ্রামবাসীদের কাছ থেকে সেই খবর পেয়ে গড়বেতা ৩ পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির নির্বাচিত সদস্য গৌতম কৌড়ি বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন সম্প্রতি। তারপরও পরিস্থিতি না পাল্টানোতে ধীরে ধীরে ক্ষোভ বাড়ছিল এলাকায়। বুধবার সমবেত হয়ে বেশ কিছু গ্রামবাসী ক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিদ্যালয়ের সামনে ৷

থানায় ডাকলেও গ্রেফতার নয়, সুজিত সামের মামলায় ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত স্বস্তিতে মকুল

খবর পেয়ে বুধবার দুপুরে সেই বিদ্যালয়ে হানা দেন বিডিও অভিজিৎ চৌধুরি । তিনি গিয়ে দেখেন মিড ডে মিলের রান্না হয়নি। স্থানীয় অভিভাবকেরা বিডিওর কাছে বেশ কিছুদিন ধরেই বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের রান্না হয়নি বলে অভিযোগ করেন। সব দিক খতিয়ে দেখে বিডিও বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের খাতাপত্র বাজেয়াপ্ত করেন। এদিন বিডিও ও যুগ্ম বিডিওর উদ্যোগে বিদ্যালয়ে ফের মিড ডে মিলের রান্নার আয়োজন করা হয়।  

দিল্লির জয়ে উজ্জীবিত বাংলা, সদস্য বাড়াতে কলকাতায় মিছিল আপ-এর            

তবে কেনও বন্ধ মিড ডে মিল?-তার সদুত্তর নেই প্রধান শিক্ষকের কাছে ৷ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক জিতেন কুমার দে মিড ডে মিল বন্ধ থাকার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে বলেন, "বেশিদিন নয়, ভীমপুজোর পর থেকে বন্ধ ছিল।" সব দেখে বিডিও অভিজিৎ চৌধুরি বলেন, "ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেশ কিছুদিন মিড ডে মিলের রান্না হয়নি।  এদিন আমরা গিয়ে বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের খাতাপত্র সিজ করেছি। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষককেও শোকজ করা হয়েছে।

Share this article
click me!