'পিএইচি-র অফিসাররা কী করে? ঘুমোয়? কোনও কনট্রাক্টর কাজ করেছে, শুনি?' সারেঙ্গা জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার ঘটনা জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হুঁশিয়ারি, যে ঠিকাদার ট্যাঙ্কটি তৈরি করেছিলেন, তাঁকেই ফের কাজ করতে হবে। ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে সরকার।
আরও পড়ুন: পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে 'ব্রাত্য', ক্ষোভ প্রকাশ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের
গরম পড়লেই এলাকায় পানীয় জলের সংকট তীব্র হয়। বছর দুয়েক আগে বাঁকুড়ায় সারেঙ্গার ফতেডাঙা গ্রামে ধানক্ষেতে একটি জলের ট্যাঙ্ক তৈরি করে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর। গত ২২ জানুয়ারি ভরদুপুরে বিকট শব্দ করে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ট্যাঙ্কটি। বরাতজোরে রক্ষা পান গ্রামবাসীরা। ঘটনার রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই জলের ট্যাঙ্কটি তৈরির করার সময়ে নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। তারজেরে এমন বিপত্তি ঘটে। বস্তুত, ট্যাঙ্কের দেওয়ালে হাল্কা ফাটলও দেখা দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সারেঙ্গায় ট্যাঙ্ক বিপর্যয়ে শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে কাটমানির নেওয়ার অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, বরাত পাওয়া জন্য তৃণমূল নেতাদের বিপুল অঙ্কের টাকা কাটমানি দিতে হয় ঠিকাদারদের। ফলে তাঁদের কাছে আর কাজ করার মতো টাকা অবশিষ্ট থাকে না। ঘটনার পরের দিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সারেঙ্গায় ফতেডাঙা গ্রামে যান বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার।
মঙ্গলবার বাঁকুড়া শহরের সতীঘাটে কর্মিসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ছিল প্রশাসনিক বৈঠক। বৈঠকে সারেঙ্গা জলের ট্যাঙ্কে ভেঙে পড়ার প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। স্রেফ ভর্ৎসনা করাই নয়, আধিকারিকদের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরে 'ঘুঘুর বাসা' ভেঙের ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক সেরে মুখ্যমন্ত্রী চলে যান দুর্গাপুরে। সিএএ-র প্রতিবাদে শহরের ভিরিঙ্গ মোড় থেকে স্টিল মার্কেট পর্যন্ত মিছিল করেন তিনি। মিছিলে হাঁটেন মন্ত্রী মলয় ঘটক, তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমানের পর্যবেক্ষক দীপ্তাংশ চৌধুরী ও জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এই মিছিলকে কেন্দ্র করে দুর্গাপুরের রাস্তায় মানুষের ঢল নেমেছিল।