টানা ধর্ষণে মৃত্যু হল বিড়াল ছানার, মহিলা ও নাবালিকাদের পর পাক পুরুষদের নয়া শিকার পশু

১৫ বছরের কিশোর ও তার বন্ধুরা

সাত দিন ধরে এরাই একটি বিড়ালছানাকে গণধর্ষণ করল

চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো গেল না তাকে

মহিলা ও নাবালিকাদের পর পাক পুরুষদের নয়া শিকার পশু

amartya lahiri | Published : Jul 29, 2020 1:03 PM IST / Updated: Jul 31 2020, 09:56 AM IST

বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে জনপ্রিয় বিড়াল, কিংবা বিড়াল ছানার ভিডিও। তাদের কাণ্ডকারখানা এতটাই মিস্টি যে ভাল না বেসে থাকতে পারে না কেউ। অথচ সম্প্রতি পাকিস্তানের লাহোরে এক ১৫ বছর কিশোর ও তার বন্ধুদের বিকৃত লালসার শিকার হয়েছে এরকমই একটি নিষ্পাপ বিড়ালছানা। জেএফকে অ্যানিম্যাল রেসকিউ অ্যান্ড শেল্টার নামে একটি পশু অধিকার সংস্থা জানিয়েছে ওই কিশোরদের গণধর্ষণ সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় ফুটফুটে ছানাটির।

জেএফকে অ্যানিম্যাল রেসকিউ অ্যান্ড শেল্টার সংস্থা এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানিয়েছে, ওই কিশোরের পরিবার বিড়ালছানাটিকে কিনে এনেছিল। তারপর ওই কিশোর ও তার বন্ধুরা মিলে এক সপ্তাহ ধরে তাকে গণধর্ষণ করে। মারাত্মকভাবে জখম হয়েছিল বিড়াল ছানাটির অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। তার ক্ষত থেকে অবিরাম রক্ত এবং বীর্য বের হচ্ছিল। হাঁটা, বসা, খাওয়া - সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রচন্ড ব্যথা ও আতঙ্কে তার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ঘুম-ও।

স্থানীয় এক কিশোরীই ছানাটিকে উদ্ধার করে। বিড়ালছানাটির অবস্থা দেখে তার সন্দেহ হয়েছিল। অভিযোগ, সে ওই কিশোরদের বিড়ালছানাটিকে তাকে দিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছিল। কিন্তু প্রথমে রাজি হয়নি তারা। পরে, অবিরাম যৌন নির্যাতনে ছানাটার অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় ওই কিশোররা বিড়াল ছানাটিকে ওই কিশোরীর হাতে তুলে দেয়। সেই জেএফকে-র সদস্যদের খবর দিয়েছিল।

জেএফকে-র সদস্যরা বিড়ালছানাটিকে পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েও বাঁচাতে পারেননি। পরে তাকে সমাহিত করা হয়। তবে পশু অধিকার সংস্থার সদস্যরা জানিয়েছেন, ওই কিশোরী মেয়েটি ঈশ্বরের কাছে মেয়েটি বিড়ালছানাটির মৃত্যুই কামনা করেছিল। কারণ যে পরিমাণ কষ্ট পাচ্ছিল ছানাটি, তা সে সহ্য করতে পারছিল না।

জেএফকে-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটাই পাকিস্তান, এবং পাকিস্তানি পুরুষদের আসল চেহারা। কিশোর বয়স থেকেই ধর্ষণের প্রবণতা দেখা যায় তাদের মধ্যে। নারী এবং নাবালিকাদের পর পাক পুরুষরা এখন ধর্ষণের জন্য পশুদের বেছে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তারা। তাদের মতে, যেখানে পাকিস্তানি মহিলা ও শিশুদের ধর্ষণেরই ন্যায়বিচার পাওয়া যায় না সেখানে একটা ছোট্ট বিড়ালছানাকে কে ন্যায়বিচার দেবে?

 

Share this article
click me!