আকাশপথে হানায় বিধ্বস্ত পাকিস্তান, ১ লক্ষ 'বিশেষ সেনা' পাঠাচ্ছে বন্ধু চিন

চিনকে বলা হয় পাকিস্তানের সব আবহাওয়ার বন্ধু

করোনাভাইরাসের ভয়াল আক্রমণের মধ্যেও পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ালো তারা

পঙ্গপালের আক্রমণে বিধ্বস্ত অবস্থা পাকিস্তানের

সেই সমস্যা মোকাবিলার জন্য ১ লক্ষ বিশেষ 'সেনা' পাঠাচ্ছে চিন

 

amartya lahiri | Published : Feb 28, 2020 9:46 AM IST / Updated: Feb 28 2020, 05:39 PM IST

চিনকে বলা হয় পাকিস্তানের সব আবহাওয়ার বন্ধু। সেই স্বীকৃতির মর্যাদা রাখল তারা। নিজেদের দেশ যখন করোনাভাইরাসের ভয়াল আক্রমণে ছাড়খাড় হতে বসেছে। তখনও চিন পাকিস্তানকে সহায়তা করতে পিছপা হচ্ছে না। গত কয়েক মাসে পঙ্গপালের আক্রমণে বিধ্বস্ত অবস্থা পাকিস্তানের। লাহোরে শহরেও ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল আসা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। এবার সেই পাক সমস্যা মোকাবিলার জন্য ১ লক্ষ শক্তিশালী হংসবাহিনী পাঠাচ্ছে চিন।

আরও পড়ুন - হাফিজ সঈদ-কে জেলে পুরে লাভ হল না, পাকিস্তান সেই ধুসর তালিকাতেই

পঙ্গপাল মানুষের কোনও ক্ষতি করে না। কামড় খাওয়া বা হুল ফোটানোর ভয় নেই। বিষক্রিয়াও হয় না বা রোগ জীবানুও বহন করে না। কিন্তু শস্যের ব্যাপক ক্ষতি করে তারা। পঙ্গপালের আক্রমণে বর্তমান পাকিস্তানের অবস্থা গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ বলে জানানো হয়েছে। এই অবস্থায় প্রথমে চিন একদল পতঙ্গ বিশেষজ্ঞ পাঠিয়েছিল অবস্থা যাচাই-এর জন্য। তারা রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরই চিনের পূর্বদিকের ঝেজিয়াং প্রদেশ থেকে শক্তিশালী হাসের দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন।

আরও পড়ুন - লেগে যেতে পারে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, হুমকির মুখে ১২ কোটিরও বেশি মানুষের জীবন

দুই দশক আগে শিনজিয়াং প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে একই রকমের পঙ্গপালের উৎপাতের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে চিন হাঁসদের ব্যবহার করেছিল। হাঁসের খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে পতঙ্গ পড়ে। চিনের সেই কৌশল দারুণ কার্যকর হয়েছিল। কীটনাশক ব্যবহারের তুলনায় এই পদ্ধতিতে ব্যয়-ও অনেক কম হয়, এবং পরিবেশগতভাবেও এটা ক্ষতিকারক নয় বলে জানিয়েছেন ঝিজিয়াং প্রদেশের ইনস্টিটিউট অফ এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি-র গবেষক লু লিঝি।

আরও পড়ুন - 'এটা পাকিস্তান, ভারত নয়', সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে মোদী সরকারকে খোঁচা পাক হাইকোর্টের

মুরগি-কে দিয়েও এই কাজ হলেও মুরগির তুলনায় হাঁস এই কাজের বেশি দক্ষ। কারণ হাঁস দলে বেঁধে থাকতে পছন্দ করে। তাই মুরগির চেয়ে তাদের সসামলানো সহজ। তাছাড়া একটি হাঁস প্রতিদিন ২০০ টিরও বেশি পঙ্গপাল খেতে সক্ষম। সেখানে মুরগির ক্ষমতা মাত্র ৭০। অর্থাৎ পঙ্গপালের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হাঁস মুরগির থেকে তিনগুণ বেশি শক্তিশালী।

গত বছরের শেষের দিকেই পাকিস্তান আক্রমণ করেছিল পঙ্গপালের ঝাঁক। সেই সময় সেই দেশের প্রচুর তুলো নষ্ট করেছিল তারা। এখন গম চাষের সময় চলছে। পাকিস্তানে প্রধান খাদ্য রুটি। তাই গম কম হলে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে তার ব্যাপক প্রভাব পড়বে।

 

 

Share this article
click me!