সংক্ষিপ্ত

২৭ দফা কর্মসূচির মধ্যে ১৪ দফাই মানা হয়েছে বলে দাবি করেছিল।

হাফিজ সঈদ-এর গ্রেফতারিকেও বড় করে তুলে ধরা হয়।

কিন্তু এফএটিএফ-এর ধুসর তালিকাতেই থেকে গেল পাকিস্তান।

তবে তুর্কি ও মালয়েশিয়ার সমর্থন পেল তারা।

 

মঙ্গলবারই সন্ত্রাসবাদ নির্মূলকরণের ওয়াচডগ সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল পাকিস্তান। অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসহাদে অর্থের জোগানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ২৭ দফা কর্মসূচির মধ্যে কমপক্ষে ১৪ দফা মানা হয়েছে বলেই দাবি করেছিল তারা। বিশেষ করে সম্প্রতি হাফিজ সঈদ-এর গ্রেফতারিকে বড় করে তুলে ধরেছিল তারা। কিন্তু, এতকিছু করে লাভ হল না। সূত্রের খবর এবারও পর্যালোচনার পর পাকিস্তান-কে ধুসর তালিকাতেই রেখে দিল এফএটিএফ।

পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী হামাদ আজহার-এর নেতৃত্বে পাকিস্তানের একটি প্রতিনিধি দল এই প্রতিবেদন জমা দেয়। পাকিস্তানি কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন এফএটিএফ ২৭ দফা কর্মসূচির মধ্যে ১৪ সম্পূর্ণভাবে কার্যকর করার পাশাপাশি আরও অন্তত ১১ দফা তারা আংশিকভাবে মেনে চলেছে। তবে অন্তত দুটি বিষয় আছে যা তাদের পক্ষে মানা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছিল তারা। কিন্তু, তাতে লাভের লাভ কিছু হল না। তবে এদিন এফএটিএফ-এর পর্যালোচনা সভায় পাকিস্তানকে সমর্থন করে তুর্কি ও মালয়েশিয়া।

এর আগে পাকিস্তান-কে ধুসর তালিকায় রেখে দিয়ে এফএটিএফ পাকিস্তানকে তাদের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইন আরও কঠোর করার এবং অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের পিছনে দায়ী সংস্থা ও ব্যক্তিদের দোষী সাব্যস্ত করার দাবি করেছিল। গত সপ্তাহে পাকিস্তান জামাত-উদ-দাওয়া'র প্রধান তথা ২৬-১১ মুম্বই হামলার  প্রধান চক্রী হাফিজ সঈদ-কে অর্থ আত্মসাৎ ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের দু'টি মামলায় কমপক্ষে সাড়ে পাঁচ বছরের জন্য কারাদন্ডে দণ্ডিত করে। এতে করে এফএটিএফ-এর ধুসর তালিকা থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারবে বলে আশা করেছিল পাকিস্তান।