সংক্ষিপ্ত

বারুদ রয়েইছে, দরকার শুধু আগুনের।

ভারত ও পাকিস্তানে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এরকমই জায়গায় পৌঁছেছে।

এরকমই একটি সিকিওরিটি রিপোর্ট দেওয়া হল।

পারমাণবিক যুদ্ধ হলে ৫ থেকে ১২.৫ কোটি মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

 

কাশ্মীরে একটি জঙ্গি হামলা থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যের উত্তেজনা এতটাই বাড়তে পারে যে এই দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ পুরোপুরি সামরিক সংঘাতের পথেও যোতে পারে। আর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সেই পারমাণবিক যুদ্ধের ফলে ২০২৫ সালে ৫০-১২৫ মিলিয়ন বা ৫ থেকে ১২.৫ কোটি মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে মিউনিখ সিকিউরিটি রিপোর্ট ২০২০-তে।

আরও পড়ুন - 'এটা পাকিস্তান, ভারত নয়', সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে মোদী সরকারকে খোঁচা পাক হাইকোর্টের

এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে এই অঞ্চলে সক্রিয় প্রধান দুই শক্তি - ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা ক্রমশঃ বেড়েছে। তাতে যুক্ত হয়েছে চিন-ও। ভারত এখন স্থল, জল ও বায়ু - তিন দিক ক্ষেত্রেই পরমাণু অস্ত্রে সম্বৃদ্ধ। পাকিস্তান-ও সেই পথেই এগোচ্ছে। এতে করে আঞ্চলিক স্থিতিশিলতা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি ক্রমে বাড়ছে। পুলওয়ামার হামলার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে এই রকম হামলা ফের ঘটলে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে বাড়তে সরাসরি সামরিক লড়াইয়ের দিকে গড়াতে পারে।

আরও পড়ুন - হাফিজ সঈদ-কে জেলে পুরে লাভ হল না, পাকিস্তান সেই ধুসর তালিকাতেই

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পারমানবিক যুদ্ধ হলে কতটা ক্ষতি হতে পারে তারও একটা ধারণা দেওয়া হয়েছে এই রিপোর্টে। মিউনিখ সিকিউরিটি রিপোর্টের অনুমান ভারত ও পাকিস্তানের অস্ত্রাগারে যথাক্রমে ১০০ ও ১৫০টি কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। এই সবকটি যদি ব্যবহার করা হয়, তবে ১৫ থেকে ১০০ কিলোটন তেজষ্ক্রিয় পদার্থের বিস্ফোরণ ঘটবে। এর ফলে ১৬ থেকে ৩৬ মিলিয়ন টন কালো কার্বন ধোঁয়া নির্গত হবে। তাতে ভূপৃষ্ঠের সূর্যালোক ২০-৩৫ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে। সেই ক্ষেত্রে জমির উৎপাদনশীলতা ১৫-৩০ শতাংশ এবং মহাসাগরের উৎপাদনশীলতা ৫-১৫ শতাংশ হ্রাস পাবে। আর ৫ থেকে ১২.৫ কোটি মানুষের তাৎক্ষণাৎ মৃত্যু ঘটবে।

আরও পড়ুন - আকাশপথে হানায় বিধ্বস্ত পাকিস্তান, ১ লক্ষ 'বিশেষ সেনা' পাঠাচ্ছে বন্ধু চিন