উত্তেজনার বশে যোনিতে আটকে গেল প্লাস্টিকের বোতল, ড্রিল মেশিনের দৌলতে কাটল বিপদ

  • বয়ঃসন্ধি থেকে শুরু হয় মানুষের নতুন পরিচয়
  • এই সময় শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে
  • যা একজন-কে পরিপূর্ণ মানুষ করে তোলে 
  • এমন সময় অজ্ঞতায় ঘটে যেতে পারে অনেক অঘটন 

Asianet News Bangla | Published : Feb 15, 2020 10:27 AM IST / Updated: Mar 04 2020, 07:51 PM IST

বয়ঃসন্ধিতে অজ্ঞতার বশে কী হতে পারে, তা আমাদের অনেকরই ধারনায় থাকে না। এই বয়সে একজন মানুষ কত বিচিত্র অভিজ্ঞতার সামনে পড়েন তার অধিকাংশটাই অজানা থেকে যায়। কারণ, এই সব গল্প সাধারণ জনমানসে, এমনকী একান্ত ঘনিষ্টজনেদের সঙ্গেও শেয়ার করা যায় না। মানুষ এই সময় শারীরিক এবং মানসিক এমন কিছু পরিস্থিতির মধ্যে দিন গুজরান করে যে তা পুরোপুরি মেলে ধরাটা অসম্ভব হয়ে যায়। তবে, বহু চিকিৎসককে কিছু অদ্ভুত পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়। যেখানে মেলে এমনকিছু কাহিনি, যার দ্বারা মনে হয় যে একটা বয়সের পর যে শারীরিক ও মানসিক চ্যালেঞ্জ বড় হয়ে ওঠে তা সকলের গোচরে আসা উচিত। এতে হয়তো একজনের জীবনের রিস্ক ফ্যাক্টর অনেকটা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

জন ফ্রি ম্যান নামে এক চিকিৎসক এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন। জন অ্যাকাডেমিকসে বার্কলে ইউনিভার্সিটি থেকে অঙ্কে স্নাতক হয়েছেন। এছাড়াও তাঁর লব্দ করা ডিগ্রি-র তালিকায় রয়েছে- চিকিৎসাবিজ্ঞান- এখানে তিনি এমডি ও পিএইচডিও করেছেন। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে নিউরোবায়োলজিস্ট ও সাইক্রিয়াটিস্টের বিশেষজ্ঞ তকমা। পড়াশোনার একটা জীবন তিনি কাটিয়েছেন ম্যাসাচুটাস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি-তে। 

জন একটি সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে পেশাগত ঝক্কি এবং অস্বস্তি নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি একটি ঘটনার কথা জানিয়েছেন। যার সঙ্গে জুড়ে রয়েছে বয়ঃসন্ধিকালের সমস্যা। এই কাহিনির কেন্দ্রীয় চরিত্র এক তরুণী। যে তখন বয়ঃসন্ধিকালের সীমা অতিক্রম করে যুবতী হওয়ার পথে। জন জানাচ্ছেন, একদিন তাঁর হাসপাতালে এই তরুণী এসে হাজির হন। গুরুতর সমস্যায় পড়েছিলেন ওই তরুণী। কারণ, তাঁর যোনিতে আটকে ছিল একটি প্লাস্টিকের বোতল। যোনি পর্দা ছেদ করা  প্লাস্টিকের বোতলটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করে গিয়েছিল। শুধুমাত্র বোতলের পিছনের অংশটি দেখা যাচ্ছিল। বোতলটি আকার নিয়ে না নার্স বা জন কেউ-ই কোনও ধারনা করতে পারছিলেন না। এমনকী, তরুণীর উত্তর-ও পরিষ্কার ছিল না। তিনি প্রবল যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন। 

জন এবং নার্সদের দল নানাভাবে নাকি বোতলটিকে টেনে বাইরে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই সফল হননি। অবশেষে জন হালকা একটি ড্রিল মেশিন জোগার করেন। মেডিক্যাল ফেসিলিটিতে এমন ড্রিল মেশিন রাখতেই হয় হাসপাতালকে। সেই ড্রিল মেশিন দিয়ে জন আস্তে আস্তে বোতলের পিছনে একটি ফুটো তৈরি করেন। এতে বোতলের ভিতরে থাকা বাতাস বাইরে বেরিয়ে আসে এবং যোনি থেকে তা অনেকটাই আলগা হয়ে যায়। এরপর আস্তে আস্তে সেই বোতলটিকে চিমচের মাধ্যমে বাইরে বের করতে সমর্থ হন জন। 

এই চিকিৎসক জানিয়েছেন, উত্তেজনার বশে তরুণী বুঝতেই পারেননি বোতলি তাঁর শরীরের কতটা ভিতরে প্রবেশ করেছে। এই ধরনের যৌন ক্রীড়া অনেকসময় অসাধারণ অনুভূতি তৈরি করলেও তা প্রাণাঘাতী হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন জন। ভাগ্য ভাল যে তরুণীটির যৌনিতে সামান্য ক্ষত তৈরি হয়েছিল এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের মাধ্যমে তার মোকাবিলাও করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু, বোতলটি কোনওভাবে ক্ষুদ্রান্তে আঘাত করলে পরিস্থিতি কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারত তা ভেবেই আতঙ্কিত জন। বহু বছর আগের এই পেশাগত অভিজ্ঞতাকে তিনি জীবনের এক কঠিন চ্যালেঞ্জ বলেও মনে করেন। 

Share this article
click me!