জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। নির্ণায়ক পঞ্চম ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়ম অনুসারে স্বাগতিকদের ৪৯ রানে হারিয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে অজি বাহিনী। ব্রিস্টলের কাউন্টি গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ড ৩১০ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয়। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০.৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৬৫ রান তুলতেই বৃষ্টি আঘাত হানে। এরপর আর খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি। ফলে জয়ের জন্য ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়ম অনুসারে ৪৯ রানে এগিয়ে থেকে জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দুটি ওয়ানডে জিতে সিরিজে এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। পরের দুটি ম্যাচ জিতে সিরিজ ড্র করে ইংল্যান্ড।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত शुरुआত করেছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম উইকেটে ম্যাথু শর্ট (৫৮) - ট্র্যাভিস হেড (৩১) জুটি গড়ে ৭৮ রান। হেডকে আউট করে ব্রাইডন কার্স ইংল্যান্ডকে প্রথম সাফল্য এনে দেন। এরপর ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকা শর্টও ফিরে যান। মাত্র ৩০ বলে ৪টি ছক্কা ও ৭টি চারে সাজানো ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর স্টিভেন স্মিথ (৩৬) - জশ ইংলিস (২৮) জুটি গড়ে ৪৭ রান যোগ করেন। এরই মাঝে বৃষ্টি আঘাত হানে।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মন্দ शुरुआত করেনি ইংল্যান্ড। প্রথম উইকেটে ফিল সল্ট (৪৫) - ডাকেট জুটি গড়ে ৫৮ রান। সপ্তম ওভারের শেষ বলে এই জুটি ভাঙেন অ্যারন হার্ডি। সল্টকে ফিরিয়ে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তিনি। তিন নম্বরে নেমে আসা উইল জ্যাকস (০) ব্যর্থ হন। হার্ডির বলেই বোল্ড হন তিনি। ২ উইকেটে ৭০ রান হয় ইংল্যান্ডের। এরপর ডাকেট - ব্রুক জুটি ইনিংস সামলে তোলেন।
১৩২ রানের জুটি গড়েন তারা। অবশেষে ব্রুককে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন অ্যাডাম জাম্পা। ৫২ বলে ৭টি ছক্কা ও ৩টি চারে ৮৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ব্রুক। এরপর জেমি স্মিথ (৬), লিয়াম লিভিংস্টোন (০), জ্যাকব বেথেল (১৩) ব্যর্থ হন। এরই মাঝে ডাকেটও ফিরে যান। ৯১ বলে ২টি ছক্কা ও ১৩টি চারে ১০৭ রান করেন তিনি। ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান হয় ইংল্যান্ডের।
অ্যাডিল রশিদের (৩৬) ব্যাটের জোরে ইংল্যান্ডের ইনিংস ৩০০ রানের গন্ডি পার করে। এছাড়া ব্রাইডন কার্স (৯), ম্যাথিউ পটস (৬) ব্যর্থ হন। অলি স্টোন (৯) অপরাজিত থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে ৪ উইকেট নিয়ে সর্বাধিক সাফল্য পান ট্র্যাভিস হেড।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।