পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় মহিলা দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হল। একইসঙ্গে শেফালি ভার্মা, তিতাস সাধুদের ৫ কোটি টাকা পুরস্কারও দিল বিসিসিআই।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মহিলাদের প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফেরা ভারতীয় দলকে সংবর্ধনা দিল বিসিসিআই। বুধবার আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ভারত-নিউজিল্যান্ড সিরিজের তৃতীয় টি-২০ ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে শেফালি ভার্মা, তিতাস সাধু, রিচা ঘোষ, হৃষিতা বসুদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর, বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি, বিসিসিআই সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা, বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। সংবর্ধনার পাশাপাশি বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ৫ কোটি টাকা পুরস্কারও দেওয়া হল। রবিবার শেফালিরা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেই বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে দলকে অভিনন্দন জানিয়ে আর্থিক পুরস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়। এরপর জানানো হয়, বুধবার আমেদাবাদে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মুম্বই ফেরার পর সবাইকে আমেদাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে সংবর্ধনা দেওয়া হল। বিশ্বকাপজয়ী দলকে অভিনন্দন জানান ২০১১ সালে ওডিআই বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য সচিন।
এবারই প্রথমবার মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করা হয়। কাকতালীয়ভাবে পুরুষদের সিনিয়র পর্যায়ের প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ এবং মহিলাদের প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপ হল দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং এই দুই বিশ্বকাপেই চ্যাম্পিয়ন হল ভারতীয় দল। রবিবার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হেলায় হারিয়ে দেন শেফালি, তিতাসরা।
এই বিশ্বকাপে একটি ম্যাচ বাদে বাকি সব ম্যাচেই অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে ভারতীয় দল। গ্রুপের সব ম্যাচেই জয় পায় ভারত। এরপর অবশ্য সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায় ভারতীয় দল। তবে এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে বাকি ম্যাচগুলি জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। বাংলার ৩ ক্রিকেটার ছিলেন ভারতীয় দলে। ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন চুঁচুড়ার তিতাস। এছাড়া হাওড়ার হৃষিতা ও শিলিগুড়ির রিচাও ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। ওপেনার শ্বেতা সেহরাওয়াত, লেগস্পিনার পরশভী চোপড়াও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। ৭ ম্যাচে ৯৯ গড় ও ১৩৯.৪৩ স্ট্রাইক রেটে ২৯৭ রান করে বিশ্বকাপের সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী হয়েছেন শ্বেতা। তিনি বিশ্বকাপে ৩টি অর্ধশতরান করেন। সর্বাধিক স্কোর অপরাজিত ৯২।
বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচ খেলে ১১ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বাধিক উইকেট সংগ্রহকারী পরশভী। তাঁর ইকনমি রেট ৩.৬৬। শেফালি ১৭২ রান করেন। দলের এই সাফল্যে সবারই কিছু না কিছু অবদান আছে। সবাই মিলে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েই ভারতকে প্রথমবার মহিলা ক্রিকেটে বিশ্বসেরা করেছেন।
আরও পড়ুন-
৪ বছর বয়সে বাবার মৃত্যু, মায়ের বেতন সাড়ে ৫ হাজার টাকা, এক কামরার ঘর থেকে বিশ্বজয় সোনিয়ার
চুঁচুড়ার রাজেন্দ্র স্মৃতি সঙ্ঘ থেকে ভারতীয় দল, স্বপ্নের উত্থান তিতাসের
অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিন বাঙালি কন্যার সাফল্যে খুশির জোয়ার পরিবারে