নিউজিল্যান্ড কেন ওডিআই র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে, সেটা হায়দরাবাদে বুঝিয়ে দিল। শুবমান গিলের অসাধারণ ইনিংসের পাল্টা লড়াই করলেন মাইকেল ব্রেসওয়েল।
২০০০ সালের ১৫ অক্টোবর কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে ২৬৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৩২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সেই অবস্থা থেকে ক্রিস কেয়ার্নস ও ক্রিস হ্যারিসের অসাধারণ লড়াইয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় কিউয়িরা। বুধবার হায়দরাবাদে সেই ম্যাচের স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন মাইকেল ব্রেসওয়েল ও মিচেল স্যান্টনার। বুধবার ৩৫০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৩১ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে বসে কিউয়িরা। সেই অবস্থা থেকে লড়াই শুরু করেন ব্রেসওয়েল ও স্যান্টনার। দুরন্ত শতরান করেন ব্রেসওয়েল। যোগ্য সঙ্গত করেন স্যান্টনার। ৪৫ বলে ৫৭ রান করে স্যান্টনার আউট হয়ে যাওয়ার পরের বলেই বোল্ড হয়ে যান হেনরি শিপলি। কিন্তু তারপরেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন ব্রেসওয়েল। শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ২৪ রান। হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম বলে ১ রান নেন লকি ফার্গুসন। দ্বিতীয় বলে ১ রান নেন ব্রেসওয়েল। তৃতীয় বলে শুবমান গিলের হাতে ক্যাচ দেন ফার্গুসন। নবম উইকেট হারায় কিউয়িরা। এরপর ক্রিজে আসেন ব্লেয়ার টিকনার। শেষ ওভারে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ২০ রান। বল করতে যান শার্দুল ঠাকুর। প্রথম বলেই ওভার-বাউন্ডারি মারেন ব্রেসওয়েল। পরের বল হয় ওয়াইড। এর পরের বলে এলবিডব্লু হয়ে যান ব্রেসওয়েল। তিনি করেন ১৪০ রান। ফলে ১২ রানে জয় পায় ভারত।
শুবমান গিলের অসাধারণ ইনিংসের সুবাদে ভারতীয় দল এদিন প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩৪৯ রান করে। শুবমান ১৪৯ বলে ২০৮ রান করেন। এরপর রান তাড়া করতে নেমে কিউয়িরা যখন ১৩১ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে বসে তখ অনেকেই ভেবেছিলেন হাসতে হাসতে ম্যাচ জিতে যাবে ভারত। কিন্তু হিসেব বদলে দেন ব্রেসওয়েল। তিনি ৭৮ বলে ১২টি বাউন্ডারি ও ১০টি ওভার-বাউন্ডারির সাহায্যে ১৪০ রানের অত্যন্ত মূল্যবান ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডকে প্রায় জিতিয়েই দিচ্ছিলেন। শেষপর্যন্ত অবশ্য ভারতই জয় পেল। ৩৩৭ রানে অলআউট হয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।
৩৪৯ রান তুলেও যে ভারতকে ম্যাচ জিততে এত কষ্ট করতে হল, তার জন্য বোলারদের ব্যর্থতার চেয়েও ব্রেসওয়েলের কৃতিত্ব অনেক বেশি। স্যান্টনারও অসাধারণ লড়াই করলেন।
ভারতের বোলারদের মধ্যে মহম্মদ সিরাজ ৪৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। কুলদীপ যাদব ও শার্দুল ২টি করে উইকেট নেন। ১ উইকেট করে নেন মহম্মদ শামি ও হার্দিক।
আরও পড়ুন-
ভারতীয় ক্রিকেটে আরও এক তারকার উত্থান, ২০৮ রানের বিক্রমে শুবমান-এ মোহিত ক্রিকেট দুনিয়া
২০৮ রানের ইনিংসে একাধিক রেকর্ড শুবমানের, সোশ্যাল মিডিয়া উচ্ছ্বসিত প্রশংসা অনুরাগীদের
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট দলে নেই সরফরাজ খান, ক্ষুব্ধ ভেঙ্কটেশ প্রসাদ