লিগামেন্টের চোট সেরে উঠছে, জানুয়ারির শেষদিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারেন ঋষভ পন্থ

সুস্থ হয়ে উঠছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের উইকেটকিপার-ব্যাটার ঋষভ পন্থ। তিনি কিছুদিনের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।

Web Desk - ANB | / Updated: Jan 19 2023, 07:20 AM IST

সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ঋষভ পন্থ নিজেই জানিয়েছেন, তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। এবার হাসপাতাল সূত্রে জানা গেল, এ মাসের শেষদিকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে এই ক্রিকেটারকে। তাঁকে এখন মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সেখানে তাঁর হাঁটুর লিগামেন্টের চোট সারানোর জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এই অস্ত্রোপচার করার পর ঋষভের লিগামেন্টের অবস্থা কেমন থাকে, সেটা খতিয়ে দেখবেন চিকিৎসকরা। এরপরেই এই ক্রিকেটারকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাঁর লিগামেন্টের অবস্থা যদি ভালো থাকে, তাহলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। লিগামেন্টের চোট সেরে গেলেই রিহ্যাবিলিটেশন শুরু করবেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। এর ২ মাস পর ফের তাঁর হাঁটুর অবস্থা খতিয়ে দেখবেন চিকিৎসকরা। ৪ থেকে ৬ মাস পরে মাঠে ফিরতে পারবেন ঋষভ। তবে তাঁর মাঠে ফেরা সহজ নয়। তাঁকে কাউন্সেলিংও করাতে হবে। সবমিলিয়ে শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে ভালো হয়ে উঠলেও, ঋষভের মাঠে ফিরতে অনেকগুলি ধাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।

বিসিসিআই-এর এক কর্তা জানিয়েছেন, 'লিগামেন্টের চোট সারতে সাধারণত ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ সময় লাগে। তারপর রিহ্যাব ও শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। তার ২ মাস পরে ওকে আবার পরীক্ষা করবেন চিকিৎসকরা। ঋষভ বুঝতে পেরেছে, ওর মাঠে ফেরার পথ কঠিন। ওকে কাউন্সেলিংয়ের সাহায্যও নিতে হবে। ৪ থেকে ৬ মাস পরে ও আবার খেলা শুরু করতে পারবে।'

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঋষভের লিগামেন্টের অস্ত্রোপচার জরুরি ছিল। সেই অস্ত্রোপচার ভালোভাবেই হয়েছে। এবার হয়তো এই ক্রিকেটার ধীরে ধীরে ফিট হয়ে উঠবেন।

গত ৩০ ডিসেম্বর দিল্লি থেকে রুরকি যাওয়ার পথে ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় পড়ে ঋষভের গাড়ি। তাঁকে দেরাদুনের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাঁকে এয়ারলিফট করে মুম্বইয়ে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে।

সোমবার ট্যুইট করে রজত কুমার ও নিশু কুমার নামে ২ যুবকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ঋষভ। তিনি লিখেছেন, ‘আমি হয়তো সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানাতে পারছি না, তবে এই ২ নায়কের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই হবে। তাঁরা দুর্ঘটনার সময় আমাকে সাহায্য করেছিলেন এবং আমাকে হাসপাতালে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারটা নিশ্চিত করেন। রজত কুমার ও নিশু কুমার, ধন্যবাদ। আমি আপনাদের কাছে সবসময় কৃতজ্ঞ ও ঋণী হয়ে থাকব।’

আরও পড়ুন-

শুবমানের পাল্টা ব্রেসওয়েল-স্যান্টনারের অসামান্য লড়াই, রুদ্ধশ্বাস জয় ভারতের

ভারতীয় ক্রিকেটে আরও এক তারকার উত্থান, ২০৮ রানের বিক্রমে শুবমান-এ মোহিত ক্রিকেট দুনিয়া

২০৮ রানের ইনিংসে একাধিক রেকর্ড শুবমানের, সোশ্যাল মিডিয়া উচ্ছ্বসিত প্রশংসা অনুরাগীদের

Read more Articles on
Share this article
click me!