এবারের আইপিএল-এর প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশিতভাবেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা গেল। গুজরাট টাইটানসের হয়ে ভালো পারফরম্যান্স দেখালেন ঋদ্ধিমান সাহা, মহম্মদ সামি। উপভোগ্য ম্যাচ হল।
১৬-তম আইপিএল-এর প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দিল গুজরাট টাইটানস। ২০২২-এর আইপিএল-এ দু'টি সাক্ষাৎকারেই সিএসকে-র বিরুদ্ধে জয় পেয়েছিল গুজরাট। এবারও জয় পেল হার্দিক পান্ডিয়ার দল। প্রথম ম্য়াচেই হেরে গেল মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। তবে হেরে গেলেও দুরন্ত লড়াই করল সিএসকে। শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই হয়। সিএসকে-র হয়ে অসাধারণ ব্যাটিং করেন ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড়। তিনি ওপেন করতে নেমে ৫০ বলে ৯২ রান করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৪টি বাউন্ডারি ও ৯টি ওভার-বাউন্ডারি। সিএসকে-র আর কোনও ব্যাটারই বড় রান করতে পারেননি। রুতুরাজের পাল্টা ৩৬ বলে ৬৩ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন গুজরাট টাইটানসের ওপেনার শুবমান গিল। ১৬ বলে ২৫ রান করেন ঋদ্ধিমান সাহা। ২৭ রান করেন বিজয় শঙ্কর। ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন রাহুল তেওয়াটিয়া। ৩ বলে একটি করে বাউন্ডারি, ওভার-বাউন্ডারির সাহায্যে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন রশিদ খান। রশিদ-তেওয়াটিয়া জুটিই গুজরাটকে জয় এনে দিল।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন গুজরাটের অধিনায়ক হার্দিক। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৭৮ রান করে সিএসকে। ওপেনার ডেভন কনওয়ে করেন ১ রান। ৩ নম্বরে ব্যাটিং করতে নামা মইন আলি করেন ২৩ রান। বেন স্টোকস করেন ৭ রান। অম্বাতি রায়াডু করেন ১২ রান। শিবম দুবে করেন ১৯ রান। রবীন্দ্র জাদেজা করেন ১ রান। ৭ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ধোনি। ১ রান করে অপরাজিত থাকেন মিচেল স্যান্টনার। গুজরাটের হয়ে ২ উইকেট নেন মহম্মদ সামি, রশিদ ও আলজারি জোশেফ। ১ উইকেট নেন জোশুয়া লিটল।
রান তাড়া করতে নেমে গুজরাটের ইনিংসের শুরুটা ভালোই করেন ঋদ্ধিমান ও শুবমান। ফিল্ডিং করার সময় চোট পাওয়া কেন উইলিয়ামসনের পরিবর্তে 'ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার' হিসেবে খেলতে নামা সাই সুদর্শন করেন ২২ রান। হার্দিক করেন ৮ রান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৮ রান। গুজরাটকে জয় এনে দেন তেওয়াটিয়া।
আইপিএল-এর ইতিহাসে প্রথম 'ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার' হিসেবে তুষার দেশপাণ্ডেকে মাঠে নামান ধোনি। গুজরাটের ইনিংসের শুরুতে রায়াডুর পরিবর্ত হেসেব মাঠে নামান তুষার। কিন্তু তিনি খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারলেন না। বোলিং করতে গিয়ে প্রথম ২ ওভারে দেন ২৯ রান। শেষ ওভারে তুষারই বোলিং করতে যান। প্রথম বল হয় ওয়াইড। পরের বলে ওভার-বাউন্ডারি মারেন তেওয়াটিয়া। এরপর তিনি বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ শেষ করে দেন। ৩.২ ওভার বোলিং করে ৫১ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন তুষার। ধোনির এই চালে ভুল হয়ে গেল। ফলে ম্যাচ খোয়াতে হল।