নিলামের মধ্যে দিয়ে আগামী মরসুমের আইপিএল-এর দামামা বেজে গিয়েছে। ক্রিকেটপ্রেমীদের পাশাপাশি প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও উত্তেজিত।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে এখন আর না খেললেও, এই দল, সতীর্থদের প্রতি ক্রিস গেইলের মনোভাব একইরকম আছে। তিনি ফের সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। গেইল বলেছেন, 'আমার অসাধারণ কিছু স্মৃতি আছে। শুধু বিরাট কোহলি ও এবি ডিভিলিয়ার্সের সঙ্গেই স্মৃতি নেই, এই ফ্র্যাঞ্চাইজির অন্যান্য ক্রিকেটারদের সঙ্গেও কিছু দুর্দান্ত মুহূর্ত কাটিয়েছি। আরসিবি-র হয়ে খেলার সময়ই আমার সঙ্গে সরফরাজ খান, মনদীপ সিং, কে এল রাহুলের সঙ্গে আলাপ হয়। ওদের সঙ্গেও সুন্দর সময় কাটিয়েছি। অবশ্যই দুই মহান ক্রিকেটার কোহলি ও এবিডি-র সঙ্গে একই ড্রেসিংরুমে থাকার স্মৃতি অসাধারণ। আমরা একে অপরের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করতাম। আমরা ট্রফি জিততে চাইছিলাম। কিন্তু সেটা হয়নি। আমি চাই এই ফ্র্যাঞ্চাইজি ট্রফি জিতুক। আরসিবি চিরকাল আমার দল হয়ে থাকবে। আমি এই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ভালবাসি। আমি এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে খুশি।'
সীমিত ওভারের ফর্ম্যাটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ব্যাটার গেইলের রেকর্ড অসাধারণ। আইপিএল-এও তিনি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। এই টি-২০ প্রতিযোগিতায় ১৪২ ম্যাচ খেলে ৪,৯৬৫ রান করেছেন গেইল। তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৪৮.৯৬। আইপিএল-এ এই বাঁ হাতি ব্যাটার ৬টি শতরান ও ৩১টি অর্ধশতরান করেছেন। সবচেয়ে ভাল পারফরম্যান্স রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে। কলকাতা নাইট রাইডার্স, পাঞ্জাব কিংসের হয়েও আইপিএল-এ খেলেছেন এই ব্যাটার। তবে সবচেয়ে বেশিদিন খেলেছেন আরসিবি-র হয়ে। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত খেলেছেন গেইল। সেই কারণেই তাঁর আরসিবি-র প্রতি আবেগ রয়েছে।
গেইল যে পরিস্থিতিতে আরসিবি-তে যোগ দেন, তার ফলে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা রয়েছে। কেকেআর-এর হয়ে ২ মরসুমে ১৬ ম্যাচ খেলেন গেইল। এরপরেই তাঁকে ছেড়ে দেয় কেকেআর। ২০১১ মরসুমের আইপিএল-এর নিলামে কোনও দলই গেইলকে নেয়নি। তবে অস্ট্রেলিয়ার পেসার ডার্ক ন্যানেস চোট পাওয়ায় তাঁর পরিবর্ত হিসেবে গেইলকে দলে নেয় আরসিবি। এরপর আর এই ক্যারিবিয়ান তারকাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কেকেআর-এর বিরুদ্ধে বেশিরভাগ ম্যাচেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান গেইল। ২০১৩ সালের আইপিএল-এ পুণে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে ৬৬ বলে ১৭৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন গেইল। আইপিএল তো বটেই, প্রতিযোগিতামূলক টি-২০ ম্যাচেও এটি যে কোনও ব্যাটারের সর্বোচ্চ স্কোর। আরসিবি-র হয়ে আরও অনেক ভাল ইনিংস রয়েছে গেইলের। এসব কারণেই তিনি পুরনো দল নিয়ে আবেগপ্রবণ।
আরও পড়ুন-
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট পড়ে গেলেও জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী মহম্মদ সিরাজ
বেন স্টোকসকে দলে পেয়ে খুশি ধোনি, জানালেন চেন্নাই সুপার কিংসের সিইও
আইপিএল-এ ইতিহাস স্যাম কারানের, কোনও দলেই সুযোগ পেলেন না দাদা টম কারান