
Smriti Mandhana Father's health: ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটার স্মৃতি মন্ধনা এই মুহূর্তে বেশ চর্চায় রয়েছেন এবং এর পেছনের বড় কারণ হলো তার বিয়ে পিছিয়ে যাওয়া। স্মৃতির বিয়ে ২৩ নভেম্বর মিউজিক কম্পোজার পলাশ মুচ্ছলের সঙ্গে হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই হঠাৎ করে ক্রিকেটারের বাবার শরীর খারাপ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন প্রায় ৩ দিন পর স্মৃতি ও তার পরিবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে, কারণ তার বাবা শ্রীনিবাস হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তার বাবা এখন সুস্থ এবং বিপদমুক্ত। এই কারণেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, স্মৃতি মন্ধনার বাবা শ্রীনিবাস মন্ধনাকে মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর গভীর রাতে সাঙ্গলির সর্বহিত হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে তাকে ৩ দিন ভর্তি থাকতে হয়েছিল। ২৩ নভেম্বর দুপুর প্রায় দেড়টার সময় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সেই সময় স্মৃতির পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, তার শরীর খারাপ হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে তার চিকিৎসা চলছিল।
শ্রীনিবাস মন্ধনাকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, তখন ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন যে তার বুকে ব্যথা ছিল। এরপর পরীক্ষা করে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ পাওয়া যায়। কিন্তু, এখন তিনি পুরোপুরি বিপদমুক্ত। রিপোর্ট অনুযায়ী, স্মৃতির বাবার অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করা হয়েছিল। তাতে কোনো সমস্যা দেখা যায়নি এবং তিনি এখন ভালো আছেন। এই কারণেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। আপাতত তিনি সাঙ্গলিতে নিজের বাড়িতেই বিশ্রাম নিচ্ছেন।
স্মৃতির বাবা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই মানুষের মনে প্রশ্ন উঠছে যে, কবে তাদের বিয়ে কবে হবে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, স্মৃতির পরিবারের পক্ষ থেকে আগেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল যে, যতক্ষণ না তার বাবা পুরোপুরি সুস্থ হচ্ছেন, ততক্ষণ বিয়ে স্থগিত থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রীনিবাসের সুস্থ হওয়ার খবরে সবাই এটাই জানতে চাইছেন। যদিও, আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া চ্যাট বিয়ের উপর সংকট তৈরি করেছে।
ঘটনা হল, বিয়ে পিছিয়ে যাওয়ার পরের দিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় পলাশ মুচ্ছলের বিরুদ্ধে স্মৃতি মন্ধনাকে ঠকানোর অভিযোগ উঠছে। কিছু চ্যাটের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাকে অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। যদিও, এর মধ্যে কতটা সত্যি তা এখনও প্রকাশ পায়নি। কিন্তু, বিয়ে নিয়ে সাসপেন্স এখনও রয়েই গেছে।