
Virat Kohli: ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে টেস্ট ফরম্যাটকে এক শক্তিশালী স্তরে পৌঁছে দেওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে বিরাট কোহলির নাম সবার আগে আসে। ২০ জুন ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে তিনি টেস্ট অভিষেক করেন। জানুয়ারী ২০২৫ পর্যন্ত ১১৩ টি টেস্ট ম্যাচে তিনি ৪৯.১৫ গড়ে ৮,৮৪৮ রান করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ২৯ টি সেঞ্চুরি এবং ৭ টি ডাবল সেঞ্চুরি। তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ২৫৪*।
টেস্ট ফরম্যাটে ভারতের হয়ে সর্বাধিক রান সংগ্রাহকদের মধ্যে কোহলি চতুর্থ স্থানে রয়েছেন। তার আগে শুধুমাত্র সচিন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড় এবং সুনীল গাভাস্কার। ২০১৪ সালে ধোনির অবসরের পর কোহলি ভারতীয় টেস্ট দলের পূর্ণকালীন অধিনায়ক নিযুক্ত হন। তার নেতৃত্বে ৬৮ টি টেস্টের মধ্যে ৪০ টিতে জয়লাভ করেছে ভারত। এটি দশের অধিক ম্যাচ খেলা ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চ জয়ের হার।
কোহলির নেতৃত্বে ভারত অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট সিরিজ জিতেছে। এছাড়াও, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দলকে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্বও তার। অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ জেতা প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবেও তিনি ইতিহাস গড়েছেন। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম তিন ইনিংসে তিনটি সেঞ্চুরি করা একমাত্র ব্যাটসম্যান তিনি। এছাড়াও, অধিনায়ক হিসেবে সর্বাধিক ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ডও তার দখলে।
২০১৪-১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে একই সিরিজে ৬৯২ রান করে ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে বিরল কীর্তি গড়েন। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ৬১০ রান করে আবারও তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পরিচয় দেন। মাত্র ১২৫ ইনিংসে ২৫ টি টেস্ট সেঞ্চুরি পূর্ণ করে সবচেয়ে দ্রুততম ভারতীয় খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড গড়েন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) টেস্ট প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার পুরস্কার জেতার পাশাপাশি বিশ্ব টেস্ট একাদশে বেশ কয়েকবার অধিনায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার ফিটনেস, ধারাবাহিকতা এবং খেলার প্রতি দৃঢ়প্রতিজ্ঞার মাধ্যমে বিরাট কোহলি ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটকে নতুন মাত্রা দিয়েছেন। তার ক্রিকেট যাত্রা, নেতৃত্ব এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জিত সাফল্য অনেকের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।