ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষের ইতিহাসে অন্যতম স্মরণীয় জয় ২০০৩ সালে আশিয়ান কাপ খেতাব। সেই জয়ের পর ২০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। তবে অধিনায়ক সুলে মুসার স্মৃতি এখনও টাটকা।
সুলে মুসা, ষষ্ঠী দুলে, ডগলাস, মাইক ওকোরো, বাইচুং ভুটিয়া, এম সুরেশ, সন্দীপ নন্দী, দেবজিৎ ঘোষ, মহেশ গাউলি, মালসোয়ামা টুলুঙ্গা, আলভিটো ডি'কুনহা, এই নামগুলি কখনও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা ভুলতে পারবেন না। ২০০৩ সালের ২৬ জুলাই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ইতিহাসে অন্যতম গর্বের মুহূর্ত উপহার দিয়েছিলেন এই ফুটবলাররা। লাল-হলুদের শতবর্ষের ইতিহাসে যে ২টি জয় নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয় সেগুলি হল ১৯৭০ সালে ইরানের পাস ক্লাবকরে হারিয়ে আইএফএ শিল্ড জয় এবং ২০০৩ সালে আশিয়ান কাপ জয়। বিদেশে একাধিক টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয়ছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু আশিয়ান কাপই সবচেয়ে বড়মাপের ও আলোচিত টুর্নামেন্ট। ২০ বছর পরেও এই খেতাব নিয়ে আলোচনা চলছে। কোচ সুভাষ ভৌমিক ও সেই দলের অন্যতম তারকা কুলুথুঙ্গন পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গিয়েছেন। তবে তাঁরা লাল-হলুদ জনতার স্মৃতিতে উজ্জ্বল।
২ দশক পরেও আশিয়ান কাপ জয়ের সুখস্মৃতিতে বুঁদ লাল-হলুদের সেই দলের অধিনায়ক ঘানার ডিফেন্ডার সুলে মুসা। ঘানা থেকে এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মুসা বললেন, 'আমাদের সেই জয় ইতিহাস হয়ে গিয়েছে। সেটা গৌরবের মুহূর্ত ছিল। আমরা কখনও এই সম্মানের দিন ভুলতে পারব না। আমাদের দলের সবাই কঠোর পরিশ্রম করেছিল। আমাদের মধ্যে নিষ্ঠা ছিল। আমরা একে অপরের সঙ্গে মজা করতাম, সবসময় একসঙ্গে থাকতাম, একে অপরকে ভালোবাসতাম। এসবের ফলেই আমরা লক্ষ্যপূরণ করতে পেরেছিলাম। সেই অনুভূতি ছিল অসাধারণ। আমি সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।'
আশিয়ান কাপের সময় মুসার গলায় বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিল 'কুছ কুছ হোতা হ্যায়' গান। ট্রফি জেতার পর কলকতায় ফিরে মুসা যেখানেই যেতেন, তাঁকে গান গাওয়ার অনুরোধ জানাতেন সমর্থকরা। এ প্রসঙ্গে মুসা বললেন, ‘আমরা যখন কলকাতা ফিরি, তখন অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। বিমানবন্দর থেকে পার্ক স্ট্রিট হয়ে ক্লাব তাঁবু পর্যন্ত রাস্তায় অসংখ্য মানুষ ছিলেন আমাদের সঙ্গে। সেই অনুভূতি ছিল অসাধারণ।’
ইস্টবেঙ্গলের আশিয়ান কাপ জয় ভারতীয় ফুটবলে নতুন জোয়ার এনেছিল। সারা দেশে ফুটবল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেই সাফল্য ধরে রাখতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। গত ২ দশকে ক্রমশঃ পিছিয়ে পড়েছে লাল-হলুদ। ক্লাবের বর্তমান অবস্থা দেখে দুঃখিত মুসা। তিনি চান, তাঁর প্রিয় ক্লাব আবার ভারতীয় ফুটবলে সেরা দল হয়ে উঠুক। ঠিক যেমন ২ দশক আগে ছিল।
আরও পড়ুন-
রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত, ৮২ মিনিট ১০ জনে খেলে ড্র ইস্টবেঙ্গলের
তুহিন, শ্যামলের অনবদ্য গোল, কলকাতা লিগে খিদিরপুরের বিরুদ্ধে সহজ জয় ইস্টবেঙ্গলের
Emiliano Martinez: এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে সংবর্ধনা ইস্টবেঙ্গলের