রাত পোহালেই ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) সেমিফাইনালে (Semifinal) বেঙ্গালুরু এফসির (Bengaluru FC) বিরুদ্ধে খেলতে নামছে মোহনবাগান (Mohun Bagan)। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে জয় পেয়ে এমনিতেই বাগান শিবিরের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে।
রাত পোহালেই ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) সেমিফাইনালে (Semifinal) বেঙ্গালুরু এফসির (Bengaluru FC) বিরুদ্ধে খেলতে নামছে মোহনবাগান (Mohun Bagan)। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে জয় পেয়ে এমনিতেই বাগান শিবিরের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে।
প্রসঙ্গত, কলকাতার তিন প্রধানের বাকি দুই প্রধান আগেই বিদায় নিয়েছে। একমাত্র মোহনবাগানকে নিয়েই স্বপ্ন দেখতে পারেন বাংলার ফুটবলপ্রেমী জনতা। সবুজ মেরুন সমর্থকরাও যথেষ্ট আশাবাদী ভালো ফলের বিষয়ে।
বিশেষ করে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে দল যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, তাতে আশায় বুক বাঁধারই কথা। সবথেকে বড় বিষয়, টাইব্রেকারে বিশাল কেইথের দুর্দান্ত গোলকিপিং নিঃসন্দেহে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে গোটা দলকে।
তাছাড়া মনবীর সিং এবং জেসন কামিংসও গত ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে নেমে বেশ ভালো ফুটবলই উপহার দেন। সেইসঙ্গে, লিস্টন কোলাসো, দিমিত্রি পেত্রাতোস, গ্রেগ স্টুয়ার্ট, শুভাশিস বোস এবং টম অ্যালড্রেডও কোচকে ভরসা দিচ্ছেন। ফলে, মাঝমাঠ থেকে আক্রমণভাগ পর্যন্ত বলের সাপ্লাই লাইন চালু রাখা এবং গোল করার লোকের অভাব নেই এই দলে।
কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ৩ গোলও হজম করতে হয়েছে মোহনবাগানকে। স্বভাবতই, সেটিও একটা চিন্তার কারণ। তবে সবমিলিয়ে মোহনবাগান যথেষ্ট ভালো জায়গায় রয়েছে।
অন্যদিকে, বেঙ্গালুরু এফসি কিন্তু গোলের বন্যা বইয়ে দিয়ে সেমিতে আসেনি। কারণ, কেরালা ব্লাস্টার্সকে তারা মাত্র এক গোলেই হারিয়েছে। সেই ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে জয় পায় বেঙ্গালুরু। দিয়াজের একমাত্র গোলে সেই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় তারা। যেহেতু পুরো স্কোয়াডই ফিট, তাই সেটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে মোহনবাগানের জন্য।
এমনকি, দলে কিন্তু সুনীল ছেত্রীও আছেন। ফলে, সেমিফাইনাল রীতিমতো জমজমাট হতে চলেছে। এখন দেখার বিষয় হল যে, শেষপর্যন্ত ম্যাচের ফলাফল কী দাঁড়ায়।
মঙ্গলবার, অর্থাৎ ২৭ অগাস্ট বিকেল ৫.৩০ মিনিটে কলকাতা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খেলা শুরু।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।