
Diamond Harbour FC: ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাব (United Sports Club) হয়ে উঠতে পারবে ডায়মন্ড হারবার এফসি? ২০১০-১১ মরসুমে ডুরান্ড কাপ (Durand Cup 2010) সেমি-ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal FC) হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল ইউনাইটেড স্পোর্টস। তারাই সেবার ডুরান্ড কাপ জেতে। ১৫ বছর পর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর সামনে ডায়মন্ড হারবার এফসি। এই দলের প্রধান কোচ কিবু ভিকুনা (Kibu Vicuña) ২০১৯-২০ মরসুমের আই লিগে (I-League) মোহনবাগানের (Mohun Bagan) প্রধান কোচ হিসেবে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে কলকাতা ময়দানের সঙ্গে যুক্ত এই স্প্যানিশ কোচ। তিনি মোহনবাগানকে দ্বিতীয়বার আই লিগ জিতিয়েছিলেন। এবার ডায়মন্ড হারবার এফসি-কে ভারতীয় ফুটবলের মানচিত্রে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়াই কিবুর লক্ষ্য। বুধবার ডুরান্ড কাপ সেমি-ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মোহনবাগান সমর্থকদেরও পাশে পাবে ডায়মন্ড হারবার এফসি। ফলে মানসিকভাবে তরতাজা থেকেই খেলতে নামছেন জবি জাস্টিনরা।
ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হওয়ার আগে সাংবাদিক বৈঠকে কিবু বলেছেন, ‘সেমিফাইনাল আমদের কাছে অত্যন্ত কঠিন ম্যাচ হতে চলেছে। তবে আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমরা ইস্টবেঙ্গলকে কঠিন লড়াইয়ের সামনে ফেলে দেব। ডুরান্ড কাপে আমরা ৩ ম্যাচ জিতেছি এবং ১ ম্যাচ হেরেছি। আমাদের দলের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। অবশ্যই ইস্টবেঙ্গল খুব ভালো দল, কিন্তু আমদের দলও খারাপ নয়। মোহনবাগানের কাছে আমরা হেরে গেলেও জামশেদপুরের মাঠে গিয়ে জামশেদপুরকে হারিয়ে এসেছি। আমরা সেমিফাইনালে উঠতে পেরে খুশি। তবে আরও এগিয়ে যেতে চাই। ফাইনালে উঠে চ্যাম্পিয়ন হওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’
২০১৮ সালে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলেই প্রথমবার নজর কেড়ে নেন জবি। পুরনো দলের প্রতি এখনও শ্রদ্ধাশীল এই স্ট্রাইকার। সেমি-ফাইনালের আগে তিনি বলেছেন, 'ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলব বলে আমি খুব খুশি। এই ক্লাবকে আমি সম্মান করি। এই ক্লাব থেকেই আমার উত্থান।' ইস্টবেঙ্গলের প্রতি শ্রদ্ধা থাকলেও, গোলের সুযোগ পেলে গোল করবেন এবং উল্লাসেও মেতে উঠবেন, জানিয়েছেন জবি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।