নতুন মরসুমের জন্য এখনও দল ঘোষণা করেনি ইস্টবেঙ্গল। তবে প্রধান কোচ ও সহকারী কোচ ঠিক হয়ে গিয়েছে। এবার শক্তিশালী দল গঠন হবে বলে আশা সদস্য-সমর্থকদের।
নতুন মরসুমের দল গঠনের প্রক্রিয়া বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে। বিভিন্ন দল নতুন ফুটবলারদের নাম ঘোষণা করছে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল এখনও পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির বাইরে নতুন মরসুমের জন্য কোনও ফুটবলারের নাম ঘোষণা করেনি। এরই মধ্যে শনিবার দলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, নতুন মরসুমে ১১ জন ফুটবলারকে রাখা হচ্ছে না। যে ফুটবলারদের ছেড়ে দেওয়া হল তাঁরা হলেন জেরি লালরিনজুয়ালা, অ্যালেক্স লিমা, চারালাম্বোস কিরিয়াকু, সেম্বোই হাওকিপ, সুমিত পাসি, জেক জার্ভিস, জর্ডান ও'ডোহার্টি, শুভম সেন, নবীন কুমার, অমরজিৎ সিং কিয়াম ও হিমাংশু জাংড়া। গত মরসুমে লাল-হলুদ সমর্থকদের বিরক্তির কারণ হয়ে উঠেছিলেন সুমিত। তাঁকে আগামী মরসুমে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে খুশি সমর্থকরা। তবে যে কয়েকজন ভালো পারফরম্যান্স দেখান তাঁদের অন্যতম লেফট ব্যাক জেরি, ডিফেন্ডার ও মিডফিল্ডার হিসেবে খেলা কিরিয়াকু, উইঙ্গার হিমাংশু। জেরি ও হিমাংশু তরুণ ফুটবলার। ডেভেলপমেন্ট লিগেও ভালো পারফরম্যান্স দেখান হিমাংশু। তিনি নতুন মরসুমের দলে না থাকায় অনেক লাল-হলুদ সমর্থকই অবাক হয়েছেন।
নতুন মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসেবে স্পেনের কার্লেস কুয়াদ্রাতের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বেঙ্গালুরু এফসি-কে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন কুয়াদ্রাত। তিনি ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে পরিচিত। এই হাই-প্রোফাইল কোচ এবার লাল-হলুদের দায়িত্ব নেওয়ায় খুশি সমর্থকরা। তাঁদের আশা, এবার ভালো দল গঠন করা হবে এবং ফলও ভালো হবে। বেঙ্গালুরু এফসি-র প্রাক্তন ফুটবলার দিমাস দেলগাদোকে ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। কুয়াদ্রাতের কোচিংয়ে বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে আইএসএল জেতেন দেলগাদো। ফলে তিনিও ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে পরিচিত। এছাড়া লাল-হলুদের সহকারী কোচ হিসেবে আছেন বিনো জর্জ।
দেলগাদো বলেছেন, ‘আমি স্পেনে খেলার সময়ই কোচিং লাইসেন্স পেয়েছি। আমি খেলা চলাকালীনই ভবিষ্যতে কোচিং করার কথা ভাবতাম। সেই কারণে পেশাদার কেরিয়ারে যে কোচেদের অধীনে খেলেছি তাঁদের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করেছি। এখন আর আমি পেশাদার ফুটবল খেলছি না। সেই কারণে ইস্টবেঙ্গলের মতো ক্লাবে কোচ কার্লেস ও কোচ বিনোর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে ভালো লাগছে। ওঁদের প্রচুর অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান আছে। আমি কার্লেসের কোচিংয়ে খেলেছি। ওঁর সঙ্গে আমার ফুটবল-দর্শন মেলে। আমি অতীতে ভারতের মাটিতে খেলেছি। ফলে ভারতীয় ফুটবলে কেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় সেটা আমি জানি। ইস্টবেঙ্গল ঐতিহাসিক ক্লাব। এই ক্লাব ১০০ বছরের পুরনো। এই মহান ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত।’
আরও পড়ুন-
শ্রীভূমি এফসি-র বিরুদ্ধে ৫-০ জয়, মহিলাদের প্রথম আইএফএ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল
ক্লাবের ভবিষ্যৎ গড়তে এগিয়ে আসুন, সমর্থকদের কাছে আবেদন ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের
সলমন-সোনাক্ষী-জ্যাকলিন-পূজা, গ্ল্যামারের ছটায় উদ্ভাসিত ইস্টবেঙ্গল মাঠ, উদ্বেলিত জনতা