সংক্ষিপ্ত
ইস্টবেঙ্গলের পুরুষদের দল গত কয়েক বছর ধরে সাফল্য না পেলেও, মহিলা দল ভালো পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে। কলকাতা ফুটবলে এবারের মরসুমে নিরঙ্কুশ আধিপত্য বজায় রাখল লাল-হলুদের মহিলা বাহিনী।
ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দলকে বলা হচ্ছে 'মশাল গার্লস'। ইস্টবেঙ্গলের প্রতীক মশাল বহন করে চলেছে মহিলা দল। মৌসুমি মুর্মু, রিম্পা হালদাররাই লাল-হলুদকে সাফল্য এনে দিচ্ছেন। শুক্রবার শ্রীভূমি এফসি-কে ৫-০ উড়িয়ে মহিলাদের প্রথম আইএফএ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হল ইস্টবেঙ্গল। নদিয়ার তেহট্টে ফাইনালে একাই ৪ গোল করেন লাল-হলুদের স্ট্রাইকার তুলসি হেমব্রম। অপর গোলটি করেন মিডফিল্ডার বর্ণালী কাঁড়ার। ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ১৩ মিনিটে প্রথম গোল করেন তুলসি। ১৮ মিনিটে বর্ণালী। প্রথমার্ধে ২-০ এগিয়েছিল লাল-হলুদ। দ্বিতীয়ার্ধে আরও ৩ গোল করেন তুলসি। ৪৭ মিনিটে তিনি নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন। এরপর ৭৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন তুলসি। ৮২ মিনিটে আরও একটি গোল করেন লাল-হলুদের এই স্ট্রাইকার। এবারের আইএফএ শিল্ডে ৪ ম্যাচে ৩টি হ্যাটট্রিক করলেন তুলসি।
এবারের আইএফএ শিল্ডে একটিও গোল না খেয়ে চ্যাম্পিয়ন হল ইস্টবেঙ্গল। ২৭ গোল করেছেন তুলসি, বর্ণালীরা। এবারের মরসুমে জোড়া ট্রফি পেল ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দল। এর আগে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে কন্যাশ্রী কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় লাল-হলুদ। ইন্ডিয়ান উইমেনস লিগেও লড়াই করে ইস্টবেঙ্গল। যদিও সেই টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যায় লাল-হলুদ। এই মরসুমে ২৩ গোল করেছেন অধিনায়ক মৌসুমি। তিনি ২৩ গোল করেছেন। আইএফএ শিল্ডে ১৫ গোল করলেন জঙ্গলমহলের মেয়ে তুলসি। তিনি সর্বাধিক গোলদাতার পাশাপাশি সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে সেমি-ফাইনালে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে ৩-০ উড়িয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গল। সেই ম্যাচে জোড়া গোল করেন তুলসি এবং একটি গোল করেন মৌসুমি। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর ৫০ মিনিটে প্রথম গোল করেন তুলসি। ৮৭ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান মৌসুমি। সংযোজিত সময়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন তুলসি।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে চাঁদনি স্পোর্টিং ক্লাবকে ১১-০ উড়িয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গল। সেই ম্যাচে প্রথমার্ধের শেষে ৫-০ এগিয়েছিল লাল-হলুদ। প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিক করেন তুলসি। তিনি প্রথম মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। ২ মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়ান মৌসুমি। ৫ মিনিটের মাথায় নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন তুলসি। ১৯ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান বর্ণালী। ৩৪ মিনিটে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন তুলসি। দ্বিতীয়ার্ধে আরও ৬ গোল করে লাল-হলুদ। এর মধ্যে ৩ গোল করেন তুলসি। তিনি ৪৮, ৫০ ও ৫৫ মিনিটে গোল করেন। ম্যাচে মোট ৬ গোল করেন লাল-হলুদের স্ট্রাইকার। ৪৬ ও ৫৮ মিনিটে গোল করে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন মৌসুমি। শেষমুহূর্তে পেনাল্টি থেকে গোল করেন সুলঞ্জনা রাউল।
আরও পড়ুন-
ইস্টবেঙ্গলের নতুন সহকারী কোচ বেঙ্গালুরুর হয়ে আইএসএল জেতা দিমাস দেলগাদো
ক্লাবের ভবিষ্যৎ গড়তে এগিয়ে আসুন, সমর্থকদের কাছে আবেদন ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের
Bengaluru FC: হেড না ক্যাচ? কোচের সঙ্গে মজার খেলায় সুনীল ছেত্রী-রয় কৃষ্ণরা