রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয়ের পরে মেসির মুখে শোনা গেল সতীর্থদের গুণগান। তাঁদের সমর্থন ছাড়া ম্যাচ জেতা সম্ভব ছিল না বলেও দাবি করলেন তিনি। কাঁদের খেলায় খুশি আর্জেন্টিনা অধিনায়ক?
রবিবার রাতে ফের একবার মেসি মেসি চিৎকারে ফেটে পড়ল স্টেডিয়াম। ফের একবার গোটা বিশ্ব সাক্ষী থাকল জাদুকরের বাঁ পায়ের ম্যাজিকের। ম্যাচের ৩৫ মিনিটের মাথায় ফের একবার মেসি ম্যাজিকে বল জ্বালে জড়ালো। ভ্যামোস আর্জেন্টিনা, ভ্যামোস মেসি শব্দে ফেটে পড়ল মাঠ। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয়ের পরে মেসির মুখে শোনা গেল সতীর্থদের গুণগান। তাঁদের সমর্থন ছাড়া ম্যাচ জেতা সম্ভব ছিল না বলেও দাবি করলেন তিনি। কাঁদের খেলায় খুশি আর্জেন্টিনা অধিনায়ক?
ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে এসে সতীর্থদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মেসি। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ নিয়ে বলতে গিয়ে মেসি বললেন,'আমরা প্রত্যাকেই ভালো খেলেছি। আলাদা করে কারোর কথা বলতে চাই না। তবে যদি বলতেই হয় আমি নিকোলাস ওটামেন্ডি এবং ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর নাম করব।' লিও আরও বলেন,'প্রিতিটা ম্যাচই ওরা ভালো খেলেছে দলের প্রধান ফুটবলার হয়ে উঠেছে। অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচেও আমাদের রক্ষণ খুব ভালো ছিল। সেরার পুরস্কার আমাদের প্রত্যেকের প্রাপ্য। তবে ওটামেন্ডি এবং রোমেরোর কথা আলাদা করে বলতেই হয়। গত বিশ্বকাপের পর থেকেই দেশের জন্য ওরা প্রচুর পরিশ্রম করেছে।'
এছাড়া সমর্থকদেরও ধন্যবাদ জানালেন মেসি। তিনি বললেন,'দুর্দান্ত অনুভূতি হচ্ছে। সমর্থকদের এত ভালোবাসা পেয়ে আপ্লুত। জানি তাঁরা কত কষ্ট করে এখানে এসেছেন। এও জানি আর্জেন্টিনার প্রতিটি মানুষ কাতারে আসতে চান। আমাদের দলের সঙ্গে এই বন্ধনটা অসাধারণ। ওঁরা আমাদের অবিশ্বাস্য রকমের ভালোবাসেন। এই রকম একটা দারুণ মুহূর্ত তাঁদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে আমি আপ্লুত। তাঁদের খেলার প্রতি ভালোবাসা, জীবনীশক্তি, উচ্ছ্বাস সবই অবিশ্বাস্য।
রবিবার রাতে বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামল আর্জেন্টিনা। ৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে আরও একবার মেসি ম্যাজিকের সাক্ষী থাকল গোটা বিশ্ব। ম্যাচের প্রথমার্ধেই গোলের সুযোগ মিস করেননি লিও। মেসির বাঁ পায়ের জাদুতে ফের একবার জ্বালে বল জড়ালো আর্জেন্টিনার। এদিন ম্যাচের ৩৫ মিনিটে মেসির গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এরপর প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। ৫৭ মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন জুলিয়ান আলভারেজ। ৭৭ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার ক্রেগ গুডউইনের শট এনজো ফার্নান্ডেজের গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। প্রথমে গুডউইনের গোল বলা হলেও, পরে আত্মঘাতী গোল বলে জানায় ফিফা। ব্যবধান কমানোর পর সমতা ফেরানোর জন্য অনেক চেষ্টা করে সকারুজরা। কিন্তু নিকোলাস ওটামেন্ডিরা সতর্ক ছিলেন। ফলে বাকি সময়টা গোল না খেয়ে কাটিয়ে দেয় আর্জেন্টিনার রক্ষণ। মেসি-লটারো মার্টিনেজরা ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাঁদের পক্ষেও আর গোল করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন -
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস
বিশ্বকাপে গোলসংখ্যায় মারাদোনাকে টপকালেন মেসি, সহজেই কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা