আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে তাঁর দল হারলেও মেসির খেলা দেখে মুগ্ধ অস্ট্রেলিয়া কোচ। মেসির মতো খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে খেলতে পারাকে তিনি নিজের নিজেদের সৌভাগ্য হিসেবে দেখছেন তিনি।
আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে প্রি-কোয়ার্টারে হেরেও দুঃখ নেই অস্ট্রেলিয়া কোচ গ্রাহাম আর্নল্ডের বরং মেসির বিরুদ্ধে খেলতে পেরে গর্বিত বলেও জানালেন তিনি। এর আগে দিয়েগো মারাদোনার বিরুদ্ধে খেলেছিলেন গ্রাহাম। এবার তাঁর দল খেলল আর এক ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির বিরুদ্ধে। এই ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে তাঁর দল হারলেও মেসির খেলা দেখে মুগ্ধ অস্ট্রেলিয়া কোচ। মেসির মতো খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে খেলতে পারাকে তিনি নিজের নিজেদের সৌভাগ্য হিসেবে দেখছেন তিনি। খেলা শেষে গ্রাহমের মুখে শোনা গিয়েছিল মেসি অবিশ্বাস্য।
বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে হারের পর অস্ট্রেলিয়ার কোচের মুখে শোনা গেল মেসির প্রশংসা। গ্রাহম বললেন,'মেসি অবিশ্বাস্য। ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা। ও যে কত বড় মাপের খেলোয়াড় সে বিষয় জেনেই ওকে সব রকমভাবে নিষ্প্রভ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু মেসি অবিশ্বাস্য। এর আগে আমার দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনার বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ হয়েছিল। এবার কোচ হিসেবে মেসির মুখোমুখি হওয়ারও সৌভাগ্য হল।' পাশাপাশি ম্যাচে জিততে না পারলেও দলের পারফর্ম্যস্নে খুশি গ্রাহম। তিনি বলেছেন,'আমরা দারুণ একটা দলের মুখোমুখি হয়েছিলাম। আমাদের সামনে ভালো কিছু সুযোগ এসেছিল, কিন্তু আমরা সেগুলোকে কাজে লাগাতে পারিনি। তবে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। দেশে ফুটবল নিয়ে প্রচুর আগ্রহ, প্রত্যাশাও রয়েছে। তবে বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা দরকার।'
রবিবার রাতে বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামল আর্জেন্টিনা। ৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে আরও একবার মেসি ম্যাজিকের সাক্ষী থাকল গোটা বিশ্ব। ম্যাচের প্রথমার্ধেই গোলের সুযোগ মিস করেননি লিও। মেসির বাঁ পায়ের জাদুতে ফের একবার জ্বালে বল জড়ালো আর্জেন্টিনার। এদিন ম্যাচের ৩৫ মিনিটে মেসির গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এরপর প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। ৫৭ মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন জুলিয়ান আলভারেজ। ৭৭ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার ক্রেগ গুডউইনের শট এনজো ফার্নান্ডেজের গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। প্রথমে গুডউইনের গোল বলা হলেও, পরে আত্মঘাতী গোল বলে জানায় ফিফা। ব্যবধান কমানোর পর সমতা ফেরানোর জন্য অনেক চেষ্টা করে সকারুজরা। কিন্তু নিকোলাস ওটামেন্ডিরা সতর্ক ছিলেন। ফলে বাকি সময়টা গোল না খেয়ে কাটিয়ে দেয় আর্জেন্টিনার রক্ষণ। মেসি-লটারো মার্টিনেজরা ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাঁদের পক্ষেও আর গোল করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন -
মেসির জীবনে স্মরণীয় ম্যাচ, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জীবনের ১০০০তম ম্যাচে দিয়েগোকে ছাপিয়ে গেলেন লিও
বিশ্বকাপে গোলসংখ্যায় মারাদোনাকে টপকালেন মেসি, সহজেই কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা
ফুটবল-সম্রাটের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগের মাঝেই ইনস্টাগ্রাম পোস্ট, ভক্তদের আশ্বস্ত করলেন পেলে