সেমিফাইনালের জন্য আর্জেন্টিনা অধিনায়কের পছন্দের চার দল কারা কারা? অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই প্রশ্ন কাছে। সেই প্রশ্নের উত্তরে পছন্দের দলের নামও বললেন লিও।
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপে শেষ আটের দৌঁড়ে আর্জেন্টিনা। ইতিমধ্যেই কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে ৬টি দল। শেষ আটে এখন পর্যন্ত জায়আ করে নিতে পেরেছে আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ক্রোয়েশিয়া ও ব্রাজিল। কোয়ার্টার ফাইনাল পেরিয়ে কোন কোন দল শেষ চারে পৌঁছবে তা এখন সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু এর মধ্যেই নিজেদের পছন্দের সেমিফাইনালিস্টকে বেঁছে নিয়েছেন অনেকেই। লিওনেল মেসির নজরে কোন কোন দল শেষ চারে পৌঁছতে পারে? এবার এই বিষয় মুখ খুললেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।
সেমিফাইনালের জন্য আর্জেন্টিনা অধিনায়কের পছন্দের চার দল কারা কারা? অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই প্রশ্ন কাছে। সেই প্রশ্নের উত্তরে পছন্দের দলের নামও বললেন লিও। মেসি জানান,'সেমিফাইনালের দৌঁড়ে আর্জেন্টিনা অবশ্যই থাকবে। আর্জেন্টিনা খুবই শক্তিশালী দল।' অন্য দলগুলি প্রসঙ্গে মেসি বললেন,'বিশ্বকাপের প্রায় সবগুলি ম্যাচই দেখার চেষ্টা করি। এখন পর্যন্ত ব্রাজিল খুব ভালো খেলছে। একটি ম্যাচে ক্যামারুনের কাছে হারলেও, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম দাবিদার ওঁরা।' মেসির পছন্দের তালিকা থেকে বাদ পড়েনি ইউরোপের দুই দেশও। মেসির সম্ভাব্য সেমিফাইনালিস্টের তালিকায় রয়েছে ফ্রান্স এবং স্পেনের নামও। তিনি বললেন,'ফ্রান্স অবশ্যই ভালো খেলছে, তবে স্পেনের কথাও অবশ্যই বলতে হবে।' স্পেনের প্রশংসায় মেসি আরও বলেন, 'স্পেনের ফুটবলারদের পা থেকে বল কেড়ে নেওয়া যথেষ্ট কঠিন। ওঁরা অনেকটা সময় পায়ে বল রাখতে পারে। ওঁদের হারানো খুব সহজ হবে না।'
শেষ আটেই মুখোমুখি হতে চলেছে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে সহজেই পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দিল ফ্রান্স। ৪৪ মিনিটে এমবাপের পাস থেকে ম্যাচের প্রথম গোল করেন জিরু। এরপর ৭৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন এমবাপে। এরপর আর পোল্যান্ডের পক্ষে ম্যাচে ফেরা সম্ভব ছিল না। ৯০ মিনিটের মাথায় নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন এমবাপে। শেষদিকে পেনাল্টি থেকে গোল করেন রবার্ট লেওয়ানডস্কি। ফলে সহজ জয় পেল ফ্রান্স। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই ফ্রান্সের দাপট ছিল। তবে পোল্যান্ডও মাঝেমধ্যেই ফরাসি রক্ষণে আতঙ্ক তৈরি করছিল। ফ্রান্সের গোলকিপার হুগো লরিসকে একাধিকবার নিশ্চিত গোল বাঁচাতে হয়। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরেও নিশ্চিন্ত হতে পারছিল না ফ্রান্স। তবে এমবাপে দ্বিতীয় গোল করার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পোল্যান্ড। এমবাপে তৃতীয় গোল করার পর অবশ্য কিছুটা আত্মতুষ্ট হয়ে পড়েন ফ্রান্সের ডিফেন্ডাররা। তার ফলেই পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পান লেওয়ানডস্কি।
আরও পড়ুন -
৩২ বছর পর বিশ্বকাপে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা লড়াই দেখার অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা