ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশে না রেখেই সুইৎজারল্যান্ডকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দিল পর্তুগাল। জয়ের নায়ক গনসালো র্যামোস।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর আড়ালে এতদিন চাপা পড়েছিলেন। নামটাই সেভাবে কেউ জানত না। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে রোনাল্ডো প্রথম একাদশের বাইরে থাকতেই নিজেকে মেলে ধরলেন গনসালো র্যামোস। তিনি এদিন সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করলেন। ১৭, ৫১ ও ৬৭ মিনিটে গোল করেন র্যামোস। পর্তুগিজদের হয়ে বাকি ৩ গোল করেন পেপে, রাফায়েল গুরেইরো ও রাফায়েল লিয়াও। সুইসদের হয়ে ব্যবধান কমান ম্যানুয়েল আকাঞ্জি। ৬-১ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেল পর্তুগাল। কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের প্রতিপক্ষ মরক্কো। এবারের বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক করলেন র্যামোস। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ৫-৩ গোলে জিতেছিল ইউসেবিওর পর্তুগাল। তারপর এই প্রথম বিশ্বকাপের নক-আউটে কোনও দলের বিরুদ্ধে ৪ বা তার বেশি গোল দিল পর্তুগাল। এটাই বিশ্বকাপের নক-আউটে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় পেল পর্তুগাল। ১৯৬৬ ও ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের পর এই নিয়ে তৃতীয়বার কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল পর্তুগাল। ২০১০ বিশ্বকাপ থেকে টানা ৫ বার বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যায় পর্তুগিজরা। তবে এবার তারা জয় পেল।
এই ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে পর্তুগালের কোচ ফেরান্দো স্যান্টোস জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে রোনাল্ডোর আচরণে তিনি একেবারেই খুশি হননি। গ্রুপে খুব একটা ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি রোনাল্ডো। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁকে প্রথম একাদশে রাখেননি পর্তুগালের কোচ। তাঁর এই সিদ্ধান্ত দারুণ কার্যকর হল। ম্যাচের শুরু থেকে শেষপর্যন্ত দাপট দেখিয়ে জয় পেল পর্তুগাল।
এদিন ১৭ মিনিটে প্রথম গোল করে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন র্যামোস। এরপর ৩৩ মিনিটে পর্তুগালের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার পেপে। প্রথমার্ধের শেষে ২-০ গোলে এগিয়েছিল পর্তুগাল। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার পর ব্যবধান বাড়াতে শুরু করে পর্তুগাল। ৫১ মিনিটে দলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন র্যামোস। ৫৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান গুরেইরো। ৫৮ মিনিটে সুইসদের হয়ে ব্য়বধান কমান আকাঞ্জি। এরপর ৬৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন র্যামোস। ইনজুরি টাইমে ব্যবধান বাড়ান লিয়াও।
এদিন ৭৩ মিনিটে হোয়াও ফেলিক্সের পরিবর্তে রোনাল্ডোকে মাঠে নামান পর্তুগালের কোচ। ৭৬ মিনিটে ফ্রি-কিক নেন রোনাল্ডো। সেই ফ্রি-কিক সুইৎজারল্যান্ডের ফুটবলারদের গায়ে লেগে ফিরে আসে। ৮৪ মিনিটে গোল করে ফেলেন রোনাল্ডো। কিন্তু অফসাইডের জন্য সেই গোল বাতিল করে দেন রেফারি। ফলে গোল পেলেন না রোনাল্ডো।
আরও পড়ুন-
পেলের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, আরও কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে, জানালেন চিকিৎসকরা
টাইব্রেকারে ৩ শট সেভ, স্পেনের বিরুদ্ধে মরক্কোর জয়ের নায়ক গোলকিপার ইয়াসিন বোনো
মেসি একা নয়, আর্জেন্টিনার সবাইকে নিয়েই ভাবতে হচ্ছে, বললেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক