আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্যের বিচারে ভারতের সেরা ক্লাব ইস্টবেঙ্গল। দেশ ও বাংলাকে অনেক সম্মান এনে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। কিন্তু এই ক্লাবকেই নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বিতর্কে এক ইউটিউবার।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে নিষিদ্ধ করার দাবি! তীব্র ক্ষোভে ফুঁসছেন প্রাক্তন ফুটবলার সূর্যবিকাশ চক্রবর্তী। লাল-হলুদ জার্সি পরে ঘাম-রক্ত ঝরিয়েছেন। সেই ক্লাবের বিরুদ্ধে এরকম অবমাননাকর মন্তব্য মানতে পারছেন না সূর্যবিকাশ। ইউটিউবারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে এই প্রাক্তন ফুটবলার বলেছেন, 'অতীতে প্রিন্ট মিডিয়া ছিল। তখন সাংবাদিকদের ঘটনাস্থলে যেতে হত, লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে হত। তারপর এল ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া। তখনও সাংবাদিকদের ঘটনাস্থলে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে খবর পরিবেশ করতে হত। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। তথ্য যাচাই করার দরকার নেই, কিছু জানার দরকার নেই। যা খুশি বলে দিলেই হল। ভিউ বাড়ানোর জন্য মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবর পরিবেশন করে এই ধরনের ইউটিউবাররা।'
'ক্লাবে এসে কেন কথা বলল না?'
সংশ্লিষ্ট ইউটিউবারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সূর্যবিকাশ আরও বলেছেন, 'এই ইউটিউবার বলছে, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে পোস্টার পড়েছিল, 'কাগজ আমরা দেখাব না।' পুরো ঘটনা জানতে হলে ওর ক্লাবে এসে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল। যে সময় এই ঘটনা ঘটেছিল, সেই সময় ইনভেস্টর সংস্থার সঙ্গে ক্লাবের দ্বন্দ্ব চলছিল। ইনভেস্টর সংস্থা ক্লাব হস্তগত করতে চাইছিল। এই কারণে বলা হয়েছিল,, কাগজ আমরা দেখাব না। এখন সেই ঘটনাকে অন্যভাবে দেখানো হচ্ছে। একজন মন্ত্রী ক্লাবের অনুষ্ঠানে এসে কী বললেন, সেটা ক্লাবের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে।'
ইস্টবেঙ্গল ক্লাব দেশ-বিরোধী!
সূর্যবিকাশ আরও বলেছেন, 'ইস্টবেঙ্গল-সহ গড়ের মাঠের অনেক ক্লাবই ১০০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এই ক্লাবগুলি দেশকে সম্মান এনে দেয়। কোনও ক্লাবই দেশ-বিরোধী নয়। যারা ইতিহাস জানে না, তারাই এই ধরনের কথা বলে। মূর্খ সাংবাদিক উল্টোপাল্টা কথা বলে নিজের চ্যানেলের ভিউ বাড়ানোর চেষ্টা করছে।'
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে নিষিদ্ধ করার দাবি! লাল-হলুদের পাশে দাঁড়িয়ে ইউটিউবারের বিরুদ্ধে সরব কুণাল ঘোষ
প্রথমার্ধের লড়াই দ্বিতীয়ার্ধে উধাও, এভার্টনের বিরুদ্ধে ৬ গোল হজম ইস্টবেঙ্গলের
'এই অ্যাওয়ার্ড পেয়ে গর্বিত, আনন্দিত, ইস্টবেঙ্গলকে অনেক ধন্যবাদ,' বার্তা 'ভারত গৌরব' সৌরভের