আইএসএল-এ ফের হার ইস্টবেঙ্গলের। এফসি গোয়ার কাছে অ্যাওয়ে ম্যাচে ২-৪ গোলে হেরে গেল ইস্টবেঙ্গল।
ইংরাজি নতুন বছরের প্রথম মাস পেরিয়ে গেল, জয় পেল না ইস্টবেঙ্গল। ওড়িশা, জামশেদপুর, হায়দরাবাদ, গোয়া, টানা ৪ ম্যাচে হের গেল ইস্টবেঙ্গল। বৃহস্পতিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে এফসি গোয়ার কাছে ২-৪ গোলে হেরে গেলেন ক্লেইটন সিলভা, কিরিয়াকুরা। ইস্টবেঙ্গল আরও ২-৩ গোল খেয়ে যেতে পারত। গোয়ার একাধিক আক্রমণ পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। লাল-হলুদ জার্সিধারীরাও অবশ্য একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। তবে জেতার মতো খেলেনি ইস্টবেঙ্গল। বেশিরভাগ সময়ই গোয়ার দাপট ছিল। ২৩ মিনিটের মধ্যেই হ্যাটট্রিক করে ফেলেন গোয়ার স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ইকের গুয়ারৎজেনা। তিনি ১১, ২১ ও ২৩ মিনিটে গোল করেন। সব গোলের ক্ষেত্রেই ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার ও ডিফেন্ডারদের দোষ ছিল। প্রথম গোলের সময় ইকেরকে বাধা দিতে পারেননি লালচুংনুঙ্গা। দ্বিতীয় গোলের সময় ইকেরের পাশেই ছিলেন ইভান গঞ্জালেজ। কিন্তু তিনি কিছুই করতে পারেননি। তৃতীয় গোলের সময় বক্সের মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের একাধিক ফুটবলার ছিলেন। কিন্তু তাঁরা বল বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ২৩ মিনিটের মধ্যেই দল ৩ গোলে পিছিয়ে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। কিন্তু প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। ৫৩ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে অসাধারণ গোল করে ব্যবধান বাড়ান ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজ। ৫৯ মিনিটে ভিপি সুহের এবং ৬৬ মিনিটে সার্থক গলুই গোল করে লাল-হলুদের হয়ে ব্যবধান কমান।
প্রথমার্ধের চেয়ে দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ভালো খেলে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সেটা গোয়াকে হারানোর পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। চলতি আইএসএল-এ ১৫ ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পরেও প্রথম একাদশ ঠিক করতে পারলেন না লাল-হলুদ কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। রাইক ব্যাক পজিশনে ভালো খেলছেন সার্থক। কিন্তু গোয়ার বিরুদ্ধে তাঁকে প্রথম একাদশে রাখেননি স্টিফেন। সুমিত পাসিকে নিয়ে লাল-হলুদ জনতা যতই বিরক্ত হোক না কেন, তাঁকে এদিনও সারা ম্যাচ খেলালেন কোচ। ৯০ মিনিটে পাসির অবদান বলতে দ্বিতীয়ার্ধে জেরির ক্রস থেকে বক্সের মধ্যে থেকে হেড সাইড নেটে লাগানো। এছাড়া বলার মতো আর কিছু করতে পারেননি স্টিফেনের প্রিয় ফুটবলার। দ্বিতীয়ার্ধে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মোবাশির রহমান। জেরি, মহেশ খারাপ খেলেননি। ক্লেইটনও গোল পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। বাকিদের কথা না বলাই ভালো।
আইএসএল-এ ৩ মরসুম ধরে ইস্টবেঙ্গলের টানা ব্যর্থতা চলছে। এবারও লিগ টেবলে শেষের দিকেই রয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব। কর্মকর্তারা এখনও দায় এড়িয়ে যাবেন? তাঁরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল গড়তে পারছেন না। ভারতের সেরা ফুটবলাররা এখন আর ইস্টবেঙ্গলে খেলেন না। ভালোমানের বিদেশি ফুটবলারও আনতে পারেননি রিক্রুটাররা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সমর্থকরা যতই ক্ষোভ উগরে দিন না কেন, কর্তাদের হেলদোল নেই।
আরও পড়ুন-
ইউক্রেন যুদ্ধের জের, সুপার কাপ আয়োজন করতে পারবে না রাশিয়ার শহর কাজান, ঘোষণা উয়েফার
মত বদলালেন লিওনেল মেসি, প্যারিস সাঁ জা ছেড়ে ফিরতে পারেন বার্সেলোনায়
কাতারে বিশ্বকাপের সময় মেসির ভোকাল টনিকেই উজ্জীবিত হয়েছেন সতীর্থরা, জানালেন কোচ