সংক্ষিপ্ত

রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকেই ক্রীড়াবিদদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এবার সুপার কাপ আয়োজনের দায়িত্বও হারাল রাশিয়া।

রাশিয়ার কাজান শহরে এ বছরের আগস্টে উয়েফা সুপার কাপ হওয়ার কথা থাকলেও, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে কাজান থেকে এই ম্যাচ সরিয়ে নিল উয়েফা। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের অন্যতম কেন্দ্র ছিল কাজান। সেখানেই চলতি মরসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও উয়েফা ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন দলের ম্যাচ দিয়ে আগামী মরসুম শুরু হবে। সেই ম্যাচ এবার হবে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের জিওর্জিওস কারাইস্কাকিজ স্টেডিয়ামে। এই স্টেডিয়ামেই হোম ম্যাচ খেলে গ্রিসের অন্যতম সেরা ক্লাব অলিম্পিয়াকোস। বুধবার উয়েফার এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এথেন্সে ১৬ আগস্ট উয়েফা সুপার কাপ হবে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেন আক্রমণ করে। গত বছর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হওয়ার কথা ছিল রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে। কিন্তু রাশিয়ার সেনার ইউক্রেন আক্রমণের জেরে সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল সরিয়ে নেয় উয়েফা। তবে এতদিন কাজান থেকে উয়েফা সুপার কাপ সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বুধবার সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার দলগুলিকে ফিফা ও উয়েফার প্রতিযোগিতাগুলিতে নিষিদ্ধ করা হয়। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিও ক্রীড়া সংস্থাগুলিকে রাশিয়ায় কোনও প্রতিযোগিতা আয়োজন না করার পরামর্শ দিয়েছে। সেই পরামর্শ মেনেই কাজান থেকে সুপার কাপ সরিয়ে নিল উয়েফা।

যতদিনা না রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামছে, ততদিন রাশিয়ার দলগুলিকে কোনও প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার অনুমিত দিচ্ছে না উয়েফা। ফিফাও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে রাশিয়ার ফুটবল ফেডারেশন নির্বাসন তুলে নেওয়ার জন্য দরকার করলেও, কোনও ফল হচ্ছে না। উয়েফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাশিয়ার দলগুলির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত বদলাচ্ছে না। ২০২২ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়নি রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধ চললে ২০২৪ সালের ইউরো কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচও খেলতে পারবে না রাশিয়া। যুদ্ধ বন্ধ না হলে নিশ্চিতভাবেই ২০২৬ সালে পরবর্তী বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বেও খেলতে পারবে না রাশিয়ার জাতীয় ফুটবল দল।

২০১৮ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল রাশিয়া। কিন্তু পরের বিশ্বকাপেই খেলতে পারেনি ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। যুদ্ধের জন্য তাঁকেই দায়ী করছে পশ্চিমী দুনিয়া। রাশিয়ার অনেক ক্রীড়াবিদও পুতিনের উপর ক্ষুব্ধ। যুদ্ধে যেমন বিপুল সম্পত্তি ধ্বংস হচ্ছে, প্রাণহানি হচ্ছে, তেমনই রাশিয়ার ক্রীড়াবিদদের জীবন থেকেও অমূল্য সময় চলে যাচ্ছে। কোনও প্রতিযোগিতাতেই যোগ দিতে পারছেন না তাঁরা।

আরও পড়ুন-

মত বদলালেন লিওনেল মেসি, প্যারিস সাঁ জা ছেড়ে ফিরতে পারেন বার্সেলোনায়

কাতারে বিশ্বকাপের সময় মেসির ভোকাল টনিকেই উজ্জীবিত হয়েছেন সতীর্থরা, জানালেন কোচ

রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশে না রেখে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন, এবার পোল্যান্ডের দায়িত্বে ফার্নান্দো স্যান্টোস