আইএসএল-এ ফের হার ইস্টবেঙ্গলের। শুক্রবার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গলকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিল মুম্বই সিটি এফসি।
আইএসএল-এ ইস্টবেঙ্গল আর হার যেন সমার্থক। বরং ইস্টবেঙ্গল আইএসএল-এর কোনও ম্যাচ জিতলে সেটা নেহাতই ব্যতিক্রম হয়। আইএসএল-এ শক্তিশালী দলগুলির বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের জয় অবশ্য খুব একটা নেই। শুক্রবারই যেমন ঘরের মাঠে মুম্বই সিটি এফসি-র কাছে ৩ গোলে হেরে গেল স্টিফেন কনস্টানটাইনের দল। মুম্বইয়ের হয়ে জোড়া গোল করলেন লালেংমাউইয়া রালতে। ১ গোল করলেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। ৮৯ মিনিটে গুরকিরত সিং পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ না হলে ব্যবধান বাড়ত। এদিনের জয়ের ফলে ১০ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের শীর্ষে মুম্বই। অন্যদিকে এদিনও হেরে ১০ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ৮ নম্বরেই থেকে গেল ইস্টবেঙ্গল। ২৪ ডিসেম্বর পরের ম্যাচে চেন্নাইয়িন এফসি-র মুখোমুখি হবে মুম্বই। ইস্টবেঙ্গলের এখন বেশ কিছুদিন কোনও ম্যাচ নেই। ৩০ ডিসেম্বর পরের ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসি-র মুখোমুখি হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। অ্যাওয়ে ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে জয় পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।
এবারের আইএসএল-এ হোম ম্যাচে এখনও জয়হীন ইস্টবেঙ্গল। যে ৩ ম্যাচে জয় এসেছে, সবই অ্যাওয়ে ম্যাচ। ১০ ম্যাচের মধ্যে ৭ ম্যাচই হেরে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। দলের রক্ষণ যেমন ভরসা দিতে পারছে না, তেমনই মাঝমাঠে খেলা তৈরি হচ্ছে না। ইভান গঞ্জালেজ একেবারেই ধারাবাহিক নন। তিনি প্রতি ম্যাচেই এমন কিছু ভুল করে বসেন যার সুযোগ বিপক্ষ দল পেয়ে যায়। মাঝমাঠে বল ধরে খেলার কেউ নেই। কিরিয়াকু মন্দের ভাল কিন্তু তাঁকে সাহায্য করার কেউ নেউ। লাল-হলুদের আক্রমণের কথা যত কম বলা যায় ততই ভাল। ক্লেটন সিলভা ভাল খেলোয়াড় কিন্তু বড্ড বেশি স্বার্থপর। সতীর্থদের দিয়ে গোল করানোর বদলে নিজে গোল করার চেষ্টা থাকে সবসময়। মুম্বইয়ের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে সবসময় নিজে গোল করার চেষ্টা করলে সফল হওয়া যায় না। অপর এক স্ট্রাইকার সেম্বোই হাওকিপ এদিন খুব একটা ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে পারলেন না। মোর্তাজা ফল ও মেহতাব সিংহের কাছে বারবার আটকে গেলেন হাওকিপ। গত কয়েকটি ম্যাচে লেফট উইংয়ে ভাল খেলেন নাওরেম মহেশ সিং। কিন্তু মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে তিনিও বিশেষ কিছু করতে পারলেন না।
এদিন ২৬ মিনিটের মাথায় অসাধারণ গোল করে মুম্বইকে এগিয়ে দেন রালতে। প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। ৫০ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোল করেন স্টুয়ার্ট। ৫৯ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন রালতে। এরপর আর এই ম্যাচে কোনও গোল হয়নি। শেষদিকে তুহিন দাসের শট বারে লেগে ফিরে আসে। ৯০ মিনিটের মধ্যে এটাই গোলে লাল-হলুদের একমাত্র শট।
আরও পড়ুন-
বিশ্বকাপে ব্যর্থতা, পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন পর্তুগালের কোচ ফেরান্দো স্যান্টোস
বিশ্বকাপ সেমি ফাইনালের রেফারির বিরুদ্ধে ফিফার কাছে অভিযোগ দায়ের মরক্কোর
মেসির বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্নপূরণ করতে দেব না, হুঁশিয়ারি অলিভিয়ের জিরুর