শনিবার নতুন মরসুমের জন্য প্রথম কোনও ফুটবলারকে সই করানোর কথা ঘোষণা করল ইস্টবেঙ্গল। এতদিন ধরে যে জল্পনা চলছিল গড়ের মাঠে সেই জল্পনাই সত্যি হল।
শনিবার বেলার দিকে ইস্টবেঙ্গলের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে একটি মজার পোস্ট করা হয়। 'হীরক রাজা' ছবির সংলাপ একটু বদলে লেখা হয়, 'বাকি রাখা ঘোষণা মোটে ভালো কাজ না।' আসলে দলবদল অনেকদিন আগেই শুরু হয়ে গেলেও, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে নতুন কোনও ফুটবলারের নাম ঘোষণা না হওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছিলেন সদস্য-সমর্থকরা। তাঁদের সেই উদ্বেগের অবসান ঘটানো হল। ‘হীরক রাজা’ পোস্টের পরেই ক্লাবের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হল, ৩ বছরের চুক্তিতে ওড়িশা এফসি ছেড়ে লাল-হলুদে যোগ দিয়েছেন নন্দকুমার শেখর। বেশ কিছুদিন ধরেই ময়দানে শোনা যাচ্ছিল, নন্দকুমার এবার লেসলি ক্লডিয়াস সরণিতে পা রাখছেন। কিন্তু এতদিন সরকারিভাবে ঘোষণা হয়নি। শনিবার সেই ঘোষণা হল। নন্দকুমারের সই হয়ে গিয়েছে জানতে পেরে লাল-হলুদ সদস্য-সমর্থকরা খুশি।
ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টর ইমামি গ্রুপের পক্ষ থেকে দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, 'আমরা নন্দাকে ইমামি ইস্টবেঙ্গল পরিবারে স্বাগত জানাচ্ছি। ও গত মরসুমে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। আমরা আশাবাদী, কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত ও তাঁর সাপোর্ট স্টাফদের অধীনে আরও ভালো পারফরম্যান্স দেখাবে নন্দা।'
গত মরসুমে ওড়িশা এফসি-র সাফল্যের পিছনে অন্যতম অবদান ছিল নন্দকুমারের। প্রথমবার আইএসএল-এর প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জন করে ওড়িশা এফসি। এএফসি কাপের যোগ্যতাও অর্জন করেছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। এখন জাতীয় দলের হয়ে ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপ খেলতে ব্যস্ত নন্দকুমার। ইস্টবেঙ্গলে সই করার সুবাদে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে।
নন্দকুমারকে দলে পাওয়ায় খুশি লাল-হলুদ কোচ কুয়াদ্রাত। তিনি বলেছেন, ‘আমরা নন্দকুমারকে দলে নিতে পেরে খুশি। ও এমন একজন ফুটবলার যে গত কয়েক বছর ধরে ক্রমশঃ উন্নতি করেছে। ও এখন কেরিয়ারের সবচেয়ে ভালো সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ও গত মরসুমে আইএসএল ও সুপার কাপে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। ওড়িশা এফসি-কে সুপার কাপ জেতাতে ও বড় ভূমিকা পালন করেছে। আমি নিশ্চিত, ও আমাদের দলের আক্রমণভাগকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।’
ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত নন্দকুমার। লাল-হলুদ সমর্থকদের তাঁর বার্তা, ‘দেশের সব ফুটবলারই ইস্টবেঙ্গলের মতো বড় ক্লাবে খেলার স্বপ্ন দেখে। আমি কেরিয়ারের যে জায়গায় আছি সেখান থেকে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে চাই। নিজের খেলাকে অন্য উচ্চতায় তুলে নিয়ে যেতে চাই। আমি ২০১৭ সালে চেন্নাই সিটি এফসি-র হয়ে খেলার সময় ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেই পেশাদার কেরিয়ারের প্রথম গোল করেছিলাম। এবার আমি এই ঐতিহাসিক ক্লাবের হয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছি। আমি নিজের সেরাটা দিয়ে দলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। লাল-হলুদ জার্সি পরে সমর্থকদের ভালোবাসা পেতে চাই।’
আরও পড়ুন-
কলকাতা লিগের নথিতে এখনও এটিকে মোহনবাগান, বিতর্কের মুখে সাফাই আইএফএ-র
নতুন মরসুমের দল ঘোষণার আগে ১১ জন ফুটবলারকে ছেড়ে দিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব
Bengaluru FC: হেড না ক্যাচ? কোচের সঙ্গে মজার খেলায় সুনীল ছেত্রী-রয় কৃষ্ণরা