ভালোভাবেই ২০২২-২৩ মরসুম শেষ করল মোহনবাগান। আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি মরসুমের শেষে এএফসি কাপের যোগ্যতা অর্জন করল হুয়ান ফেরান্দোর দল।
আইএসএল ফাইনালে টাইব্রেকারে বেঙ্গালুরু এফসি-কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় এটিকে মোহনবাগান। এরপর বুধবার এএফসি কাপের যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসি-কে টাইব্রেকারে হারিয়ে এএফসি কাপের যোগ্যতা অর্জন করল সবুজ-মেরুন। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফল ছিল ১-১। অতিরিক্ত সময়ে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। এরপর টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে জয় পেল মোহনবাগান। এদিন ম্যাচের শুরুটা ভালো করেছিল সবুজ-মেরুন। ২০ মিনিটে গোল করে মেরিনার্সদের এগিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার দিমিত্রিয়স পেট্রাটস। ৪৪ মিনিটে সমতা ফেরান কিয়ানিজ। টাইব্রেকারে সবুজ-মেরুনের হয়ে গোল করেন পেট্রাটস, লিস্টন কোলাসো ও কিয়ান নাসিরি। হায়দরাবাদের হয়ে টাইব্রেকারে গোল করেন হোয়াও ভিক্টর। হায়দরাবাদের হয়ে টাইব্রেকারে গোল করতে ব্যর্থ হন ট্যাভোরা, কিয়ানিজ ও ওডেই। মোহনবাগানের হয়ে টাইব্রেকারে গোল করতে ব্যর্থ হন কার্ল ম্যাকহিউ। তবে তাতে বাগানের জয় পেতে অসুবিধা হয়নি।
আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সুপার কাপে খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি সবুজ-মেরুন। বুধবার ছিল মরসুমের শেষ ম্যাচ। তবে হুগো বুমোস, শুভাশিস বসুদের মধ্যে এতটুকু গাছাড়া ভাব দেখা যায়নি। শুরু থেকেই লড়াই করছিলেন সবুজ-মেরুন জার্সিধারীরা। হায়দরাবাদের ফুটবলাররাও লড়াই করছিলেন। ম্যাচের ৬ মিনিটেই হলুদ কার্ড দেখেন বুমোস। ১৯ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় হায়দরাবাদ। ইয়াসিরের ক্রসে ঠিকমতো হেড করতে পারলে গোল পেয়ে যেতেন অ্যারেন। কিন্তু তিনি জোরালো হেড করতে পারেননি। পরের মিনিটেই মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন পেট্রাটস। পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালাতে থাকে হায়দরাবাদ। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকেন ইয়াসির, অ্যারেন, ট্যাভোরা। অবশেষে ৪৪ মিনিটে সমতা ফেরে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে হায়দরাবাদেরই দাপট ছিল। মোহনবাগানের আক্রমণ খুব বেশি দেখা যাচ্ছিল না। তবে হায়দরাবাদের ফুটবলাররা সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় এগিয়ে যেতে পারেননি। ম্যাচের সহজতম সুযোগ নষ্ট করেন কিয়ানিজ। দ্বিতীয়ার্ধের সংযোজিত সময়ে বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেয়ে যান তিনি। বলের বাউন্স বুঝতে না পেরে ভুল করে ফেলেন প্রীতম কোটাল। তবে কিয়ানিজের শট তিনকাঠির মধ্যে না থাকায় অধিনায়কের ভুলের খেসারত দিতে হয়নি মোহনবাগানকে।
অতিরিক্ত সময়েও ভালো পারফরম্যান্স দেখাচ্ছিল হায়দরাবাদ। তবে সবুজ-মেরুন রক্ষণে ফাটল ধরানো সম্ভব হয়নি। এরপর টাইব্রেকারে সহজ জয় পেল মোহনবাগান। গোলকিপার বিশাল কাইথকে কোনও শটই সেভ করতে হল না। হায়দরাবাদের ভুলে বাগানের জয় সহজ হয়ে গেল।
আরও পড়ুন-
মহিলাদের জাতীয় লিগের তৃতীয় ম্যাচে মাতা রুকমণি এফসি-র বিরুদ্ধে সহজ জয় ইস্টবেঙ্গলের
'রেড অ্যান্ড গোল্ড ব্রিগেডে যোগ দিতে পেরে খুশি', ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের বার্তা নতুন কোচের
চুনী গোস্বামীর নামাঙ্কিত গেট উদ্বোধন, সুনীল গাভাসকরের মুখে জয় মোহনবাগান