সিনিয়রদের ডার্বিতে গত কয়েক বছর ধরে মোহনবাগানের কাছে হেরেই চলেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে শুক্রবার রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগের কলকাতা ডার্বিতে জয় পেল লাল-হলুদ।
বহুদিন পর কলকাতা ডার্বি জয়ের স্বাদ পেল ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগের ম্যাচে মোহনবাগানকে ২-০ উড়িয়ে দিল লাল-হলুদ। জোড়া গোল করে ডার্বির নায়ক লাল-হলুদের ২১ নম্বর জার্সিধারী কুশ ছেত্রী। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে প্রথম গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন মণিপুরের তরুণ মিডফিল্ডার কুশ। প্রথমার্ধের শেষে ১-০ এগিয়েছিল লাল-হলুদ। এরপর ৬০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন কুশ। মোহনবাগানের তরুণ ফুটবলারদের পক্ষে গোল শোধ করা সম্ভব হয়নি। এদিন মোহনবাগানের আইএসএল জয়ী কোচ হুয়ান ফেরান্দো ডার্বি দেখতে নৈহাটি স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। তাঁর সামনেই ডার্বি হারল সবুজ-মেরুন। ইস্টবেঙ্গলের সিনিয়র দল সাফল্য না পেলেও, মহিলা দল জুনিয়র দল ভালো পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে। জুনিয়র ফুটবলারদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশায় লাল-হলুদ সমর্থকরা।
বিনো জর্জের কোচিংয়ে ইস্টবেঙ্গলের যুব দল রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগে পূর্বাঞ্চল থেকে চ্যাম্পিয়ন হল। ১০ ম্যাচ খেলে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট ২৩। ৭ ম্যাচে জয় পেয়েছে লাল-হলুদ, ড্র ২ ম্যাচ এবং হার মাত্র ১ ম্যাচে। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করল মোহনবাগান। সবুজ-মেরুনের পয়েন্ট ২১। ৬ ম্যাচ জিতেছে, ৩ ম্যাচ ড্র করেছে এবং ১ ম্যাচ হেরেছে মোহনবাগান। এবার জাতীয় পর্যায়ের খেলার জন্য মুম্বইয়ে যেতে হবে।
ডার্বি জেতার পর ইস্টবেঙ্গলের কোচ বলেছেন, 'ইস্টবেঙ্গল গত কয়েক বছর ধরে সাফল্য পাচ্ছে না। সেই কারণে দলকে সাফল্য এনে দেওয়াই আমার লক্ষ্য ছিল। আমি নিজের মতো করে দলকে তৈরি করার চেষ্টা করেছি। আমি তরুণ ফুটবলারদের অনুশীলন করিয়েছি, ওদের সঙ্গে কথা বলেছি, ওদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেছি। আমি ওদের বুঝিয়েছি, উন্নতি করতে হবে। ইস্টবেঙ্গলের মতো বড় ক্লাবের হয়ে খেলার গুরুত্বও বুঝিয়েছি ওদের। দল যদি ভালো ফুটবল খেলে, পেশাদার ফুটবল খেলে, তাহলে সিনিয়র দলের সাপ্লাই লাইন তৈরি হয়। জুনিয়র ফুটবলারদের এভাবেই তৈরি করতে হয়। আজ আমাদের দল অসাধারণ ফুটবল খেলেছে। আমাদের অন্তত ৪ গোল করা উচিত ছিল। তবে ছেলেরা যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে তাতে আমি খুব খুশি। ওদের সবার প্রশংসা করতে হবে। লিগ এখনও শেষ হয়নি। এবার আমাদের মুম্বই যেতে হবে। ওখানেও আমরা একইরকম পারফরম্যান্স দেখাতে চাই। বাংলার জন্য ভালো কিছু করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা সবরকমভাবে চেষ্টা করব। আমি ছেলেদের বলেছিলাম, মুম্বইয়ে খেলতে যেতে হলে আমাদের চ্যাম্পিয়ন হতে হবে। ছেলেরা সেভাবেই খেলেছে। ডার্বির গুরুত্ব সবাই বোঝে। সেটা আর কাউকে আলাদা করে বোঝাতে হয়নি।'
আরও পড়ুন-
সুপার কাপে নিয়মরক্ষার ম্যাচে এফসি গোয়ার কাছে হার এটিকে মোহনবাগানের
আইজল এফসি-র সঙ্গে ২-২ ড্র, সুপার কাপের গ্রুপ থেকেই বিদায় ইস্টবেঙ্গলের
চুনী গোস্বামীর নামাঙ্কিত গেট উদ্বোধন, সুনীল গাভাসকরের মুখে জয় মোহনবাগান