সংক্ষিপ্ত

আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হলেও, সুপার কাপটা ভালো গেল না এটিকে মোহনবাগানের। গ্রুপে দ্বিতীয় ম্যাচেই হেরে ছিটকে গিয়েছিল সবুজ-মেরুন। শেষ ম্যাচেও হেরে গেল মেরিনার্সরা।

গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে জামশেদপুর এফসি-র কাছে ০-৩ হেরে সুপার কাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। সোমবার নিয়রক্ষার ম্যাচ ছিল এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে ০-১ হেরে গেল সবুজ-মেরুন। ৮৯ মিনিটে গোয়ার হয়ে জয়সূচক গোল করেন ফেরেস আরনাউত। এই গোল আর শোধ করতে পারেননি দিমিত্রিয়স পেট্রাটস, লিস্টন কোলাসোরা। বিয়ের জন্য অধিনায়ক প্রীতম কোটালকে এই ম্যাচে পায়নি সবুজ-মেরুন। বাকি সব ফুটবলারই ছিলেন। সেরা দলই নামান এটিকে মোহনবাগানের প্রধান কোচ ফেরান্দো স্যান্টোস। কিন্তু তাঁর দল মরসুমের শেষ ম্যাচে জয় পেল না। হেরেই মরসুম শেষ হল সবুজ-মেরুন।

এই ম্যাচে হুগো বুমোসকে প্রথম একাদশে রাখেননি সবুজ-মেরুন কোচ। তিনি প্রথম একাদশে রাখেন বিশাল কাইথ, স্লাভকো ডেমানোভিচ, কার্ল ম্যাকহিউ, শুভাশিস বসু, আশিক কুরুনিয়ান, লিস্টন কোলাসো, নামতে, গ্যালেগাও, গ্ল্যান মার্টিন্স, কিয়ান নাসিরি ও দিমিত্রিয়স পেট্রাটসকে। কিন্তু আইএসএল জয়ী ফুটবলাররা এদিন সেরা পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। শুরু থেকেই কিছুটা রক্ষণাত্মক ছিল সবুজ-মেরুন। খেলা মূলত মাঝমাঠেই সীমাবদ্ধ থাকছিল। গোয়ার বক্সে চাপ তৈরি করার চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছিল না কিয়ান-পেট্রাটসদের। বরং গোয়ার ফুটবলাররাই আক্রমণ করছিলেন। ম্যাচের ৭ মিনিটে সবুজ-মেরুনের হয়ে প্রথম শট নেন লিস্টন। কিন্তু তাঁর শট গোল হওয়ার মতো ছিল না। ৯ মিনিটে বক্সে জটলার মধ্যে থেকে বল ধরার চেষ্টা করেন পেট্রাটস। কিন্তু গোয়ার ডিফেন্ডাররা কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেন। ১৬ মিনিটে আশিকের শট সেভ করে দেন গোয়ার গোলকিপার আর্শদীপ। গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের চেষ্টা শুরু করে গোয়া। কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন ম্যাকহিউ, গ্ল্যান। ৬৩ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে সান্তানার শট অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। ফলে বিপদ এড়ায় এটিকে মোহনবাগান। ৬৫ মিনিটে আচমকা শট নেন লিস্টন। তবে তাঁর শট অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। ৭০ মিনিটে একসঙ্গে ৩টি পরিবর্তন করেন সবুজ-মেরুন কোচ। গ্যালেগাও, কিয়ান ও লিস্টনের পরিবর্তে মাঠে নামানো হয় বুমোস, পুইতিয়া ও মনবীর সিংকে। এতে বাগানের আক্রমণে গতি বাড়ে। উইং দিয়ে আক্রমণ করতে থাকেন মনবীর। ৮১ মিনিটে আরও একটি পরিবর্তন করেন ফেরান্দো। গ্ল্যানের পরিবর্তে মাঠে নামানো হয় সুমিত রাঠিকে। ম্যাচ হয়তো ড্র হয়ে যেত কিন্তু শেষদিকে মারাত্মক ভুল করেন বিশাল। নোয়ার কর্নার কিক থেকে বক্সে ভেসে আসা বল ধরতে গিয়ে ফস্কান বাগানের গোলকিপার। সেই বল জালে জড়িয়ে দেন ফেরেস আরনাউত। 

আরও পড়ুন-

আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নতুন জীবন শুরু, বিয়ে করলেন প্রীতম কোটাল

আইজল এফসি-র সঙ্গে ২-২ ড্র, সুপার কাপের গ্রুপ থেকেই বিদায় ইস্টবেঙ্গলের

চুনী গোস্বামীর নামাঙ্কিত গেট উদ্বোধন, সুনীল গাভাসকরের মুখে জয় মোহনবাগান