টার্গেট ছিল ৪১৯ রানের। পাহাড় প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে ন্যূনতম লড়াইটুকু দিতেও ব্যর্থ ওয়েস্চ ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২৬.৫ ওভারেই ১০০ রানে অলআউট হয়ে গেল ক্যারিবিয়ানরা। যার ফলে প্রথম টেস্টে ৩১৮ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ১-০ এগিয়ে গেল বিরাট কোহলির দল।
ভারতের সহজ জয়ের নেপথ্যে রয়েছে অজিঙ্ক রাহানে এবং হনুমা বিহারীর দুরন্ত ব্যাটিং। প্রথম ইনিংসে কঠিন পরিস্থিতিতে দলকে টেনে তোলার পরে দ্বিতীয় ইনিংসে দুরন্ত শতরান করলেন রাহানে। ৯৩ রান করে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন হনুমা বিহারী। দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের সৌজন্যেই শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ৩৪৩ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেন বিরাট কোহলি। আসলে বোলারদের পর্যাপ্ত সময় দিতে চেয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্কও হয়তো ভাবতে পারেনি, চতুর্থ দিনে শেষ সেশনেই এ ভাবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং।
ভারতের হয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিংকে ভাঙার মূল কাজটিই করেন জশপ্রীত বুমরা। তিন উইকেট নেন ইশান্ত শর্মা এবং দু'টি উইকেট নেন মহম্মদ শামি।
বুমরার সামনে রবিবার কার্যত অসহায় লেগেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ অর্ডারকে। এক সময়ে আট ওভারের স্পেলে মাত্র সাত রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নেন ভারতীয় পেসার। এগারোটি টেস্ট খেলে ভারতীয় পেসারদের মধ্যে সবথেকে দ্রুত পঞ্চাশ উইকেট নেওয়ার নজিরও গড়লেন বুমরা।
অন্যদিকে এই টেস্টে জিতে অধিনায়ক হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনির সাতাশ টেস্টে জয়ের নজিরকে ছুঁলেন কোহলি। রানের ব্যবধানের নিরিখে এটি ভারতের চতুর্থ সবথেকে বড় জয়। চার বছর আগে দিল্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩৩৭ রানে জয়ই এখনও এক নম্বরে রয়েছে।