করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। বন্ধ রয়েছে সমস্ত স্পোর্টিং ইভেন্ট। ঘরবন্দি অবস্থাতেই জীবন কাটাচ্ছেন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা। ক্রিকেট, ফুটবল থেকে টেনিস সব ক্ষেত্রেই পরিস্থিতিটা একই। তবে ঘরবন্দি অবস্থায় শুধু বসে না থেকে নতুন কিছুর শেখার পরামর্শ দিচ্ছেন ভারতের কিংবদন্তী টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ। সকলকে প্লেয়ারকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার কথাও বলেছেন ভারতীয় টেনিস তারকা।
আরও পড়ুনঃ১৬ মে থেকে শুরুর কথা বুন্দাসলিগা,তার আগে জার্মান ফুটবল লিগে করোনা আক্রান্ত ১০
সর্বভারতীয় টেনিস সংস্থা এবং সাইয়ের যৌথ উদ্যোগে কোচেদের একটি ইন্টারনেট সেমিনারে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন লিয়েন্ডার। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই সময়টা কী ভাবে কাজে লাগানো উচিত? ভারতের অন্যতম সেরা টেনিস খেলোয়াড় বলেন, ‘‘এই সময় নতুন, নতুন জিনিস শিখতে হবে। নিজের দক্ষতা বাড়াতে হবে।’’ ১৮ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী লিয়েন্ডার নিজের অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নেন উপস্থিত কোচেদের সঙ্গে। এই ওয়েব সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন এআইটিএ-র নথিভুক্ত কয়েক শো কোচ এবং টেনিস বিশেষজ্ঞ। অলিম্পিক্সে পদকজয়ী তারকার কাছে জানতে চাওয়া হয়, এখনও কী ভাবে নিজেকে উদ্দীপিত করেন? লিয়েন্ডারের জবাব, ‘‘টেনিসের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় আমার নানা মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এই সম্পর্কগুলোই আমাকে প্রেরণা জোগায়।’’ সেমিনারের শেষে কোচেদের উদ্দেশে লিয়েন্ডার বলে যান, ‘‘টেনিস কোর্টে শিক্ষার্থীদের সফল হতে দেখাটাই আপনাদের সেরা প্রাপ্তি।’’
আরও পড়ুনঃগম্ভীরের সেরা টেস্ট একাদশ দলে নেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, অধিনায়ক অনিল কুম্বলে
আরও পড়ুনঃলকডাউনে গব্বরের নতুন লুক,'বাব্বু' বলে সম্বোধন ভাজ্জির
সেমিনারে নিজের করিয়ারের স্মৃতিচারণাও করেন লিয়েন্ডার পেজ। অলিম্পিক পদক জয়ী বলেন,"আমি যখন টেনিস খেলতে শুরু করি তখন আর কে খান্না এআইটিএ-র প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সেই সময় এ কে খান্না সাহায্য না করলেন আমি আজকের জায়গায় আসতে পারতাম না। আমার বয়স যখন ১৪-১৫ ছিল তখন আমাকে আর কে কান্না সাহায্য করেছিল। তিনি আমাকে আইটিএফ জুনিয়র দলে উঠতে সহায়তা করেছিলেন। সেই সময় আমার পরিবারের আন্তর্জাতিকমানের কোচিং দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট অনিল খান্না মানসিক শক্তি যুগিয়েছিলেন।" সেমিনারের শেষে কোচেদের উদ্দেশে লিয়েন্ডার বলে যান, ‘‘টেনিস কোর্টে শিক্ষার্থীদের সফল হতে দেখাটাই আপনাদের সেরা প্রাপ্তি।’’