
ভারতীয় অলিম্পিক অ্য়াসোসিয়েশনের সভাপতি পদ থেকে সরে যাওয়ার জল্পনা নিয়ে এবার মুখ খুললেন খোদ নরিন্দর বাত্রা। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তিনিই এখনও রয়েছে আইওএ প্রেসিডেন্ট। কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়,নরিন্দ্র বাত্রাকে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই দাবি করা হয় সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অনিল খান্নাকে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। অপর একটি সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়, ভারতীয় অলিম্পিক অ্য়াসোসিয়েশনের পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত আর কে আনন্দ বা অনিল খান্নাকে আইওএ-র কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার সামলাবেন। এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই শোরগোল পড়ে যায়।
এরপর আসরে নামেন নরিন্দর বাত্রা। তিনি প্রেস বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং খবরটি সম্পূর্ণ অসত্য। তিনি এখনও ভারতীয় অলিম্পিক অ্য়াসোসিয়েশনের সভাপতি পদে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া বাত্রা স্পষ্ট করেছেন যে এমনকি মাননীয় দিল্লি হাইকোর্টও তা বলেনি। নরিন্দর বাত্রা বলেন,'হাইকোর্টের বৈধ নির্দেশ অনুসারে আমি ভারতীয় হকি ফেডারেশন বা ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না। তবে নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমি ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার সভাপতি হিসাবে আমার পরিষেবা চালিয়ে যাব'। আইওএ-র নির্বাচনে পরবর্তী যে নতুন সবাপতি নিরর্বাচত হবেন তার হাতে দায়িত্বভার তুলে দেওয়া পর্যন্ত নিজের কর্তব্য়ে অবিচল থাকবেন বলে জানিয়েছেন নরিন্দ্র বাত্রা।
প্রসঙ্গত, ২০৩৬ সালের আলিম্পিক আয়োজনের দায়িত্ব পাবে ভারত। আগামী দিনে যাঁরা এই দায়িত্বে আসবেন, তাঁরাই বাত্রার দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ করবেন বলে তাঁর বিশ্বাস। বাত্রা এও জানিয়েছেন, আমার মনে হয় নতুন কেউ আসুক আমার জায়গায়। সতেজ মস্তিষ্ক ও নতুন ভাবনাচিন্তায় ভারতীয় ক্রীড়াকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাক। ২০৩৬ অলিম্পিক্স ভারতে আয়োজন করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ুক সকলে। বিগত চার বছর এই পদে থাকাকালীন যে সমর্থন তিনি পেয়েছেন, তার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান। কিন্তু বাত্রার বরখাস্ত হওয়ার খবর কীভাবে সংবাদ মাধ্যমে এল তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুনঃসিএবি-ঋদ্ধিমান সাহার সম্পর্কের কফিনে এটাই কী শেষ পেরেক, বড় পদক্ষেপ নিলেন পাপালি
আরও পড়ুনঃফের লাল-হলুদের ত্রাতার ভূমিকায় মুখ্যমন্ত্রী, নতুন ইনভেস্টর পেয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব