বিগত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জাতীয় স্তরের খেলোয়ারদের দুর্দশার ছবি উঠে আসছে। কেউ বিশেষভাবে সক্ষম ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হয়েও রাস্তার ধারে বসে পাথর ভাঙার কাজ করছেন, কেউ আবার ঘুরছেন অফিসের দরজায় দরজায় চাকরির জন্য, আবার কেউ ২৪টি স্বর্ণপদক পেয়েও অর্থাভাবে করতে হচ্ছে দিনমজুরের কাজ। একইরকম পরিস্থিতি ঝাড়খণ্ডের সরিতা তিরকের। পেটের তাগিদে বাধ্য হয়ে দিননমজুরের কাজ করতে হচ্ছে এই সোনা জয়ী ক্রীড়াবিদকে।
আরও পড়ুনঃআইপিএলের স্পনসর থেকে সরে দাঁড়াল ভিভো, নতুন স্পনসরেরর খোঁজে বিসিসিআই
লন বল খেলায় দু’বার ন্যাশনাল গেমসে সোনা জিতেছেন সরিতা তিরকে। শুধু জাতীয় স্তরে নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেওদেশের নাম একধিকবার উজ্জ্বল করেছেন সরিতা। কিন্তু অভাবের সংসারে দুবেলা দুমুঠো অন্ন জোগাড় করা দয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে সরিতার। বাধ্য় হয়ে সংসারের খরচা চালানো জন্য একটি ছোট্ট চায়ের দোকান চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় দিনমজুরের কাজ করেন সরিতা। কিন্তু সরিতার সম্ভাবনা কম ছিল না। ২০০৭ সাল থেকে জাতীয় গেমসে অংশগ্রহণ করছেন। ওই বছর তিনি ঝাড়খণ্ডের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। এরপর ২০১১ সালে বিহারের হয়ে খেলে সোনা জেতেন সরিতা। এরপর ২০১৫ সালে ফের ঝাড়খণ্ডের হয়ে খেলেন তিনি। এবারেও জাতীয় গেমসে চ্যাম্পিয়ন হন সরিতা। এছাড়া ২০১৫ এবং ২০১৭ সালে ন্যাশনাল লন বল চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতেন তিনি। ২০১৮ সালে জিতেছিলেন রুপো। এছাড়া গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়া–প্যাসিফিক চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতে দেশবাসীকে গর্বিত করেন সরিতা।
আরও পড়ুনঃসচিনের ব্যাট দিয়েই ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন আফ্রিদি, ২৪ বছর পর রহস্যফাঁস
আরও পড়ুনঃনতুন মরশুমের সিঁরি আ-র দিনক্ষণ প্রকাশিত, জেনে নিন বিস্তারিত
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে এত সাফল্যের পরও ভাগ্যদেবী সহায় হয়নি সরিতার। ক্রিকেট বা ফুটবলের মত লন বলে আর্থিক প্রতিপত্তি না থাকায় আজ পেট চালানোর জন্য দিনমজুরের কাজে যোগ দিয়ে মাথায় করে সিমেন্ট, বালি , ইট বইতে হচ্ছে সরিতাকে। সরকারের কাছে বারবার প্রতিশ্রুতি চেয়েও আশ্বাস ছাড়া কিছুই জোটেনি। ফলে জীবন সংগ্রাম সরিতাকে আজ এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। যাকে মাঠে থাকা উচিৎ, দেশের নাম উজ্জ্বল করা উচিৎ সে আজ দিনমজুর। সরকারি সাহায্য না মিললে হয়তো খুব শীঘ্রই কালের অন্ধকারে হারিয়ে যাবে আরও এক প্রতিভাবান প্লেয়ার।