সম্প্রতি বিভিন্ন ইভেন্টে সাফল্য পাচ্ছেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা। অ্যাথলেটিক্স, ব্যাডমিন্টনে পদক পাচ্ছেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা। এবার ফেন্সিংয়েও সাফল্য এল।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মিসাকি এমুরাকে হারিয়ে এশিয়ান ফেন্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি-ফাইনালে পৌঁছে পদক জিতলেন ভবানী দেবী। তিনি অবশ্য সেমি-ফাইনালে হেরে গিয়েছেন। তবে তারপরেও ব্রোঞ্জ পেয়েছেন ভবানী দেবী। এর আগে কোনওদিন এই প্রতিযোগিতায় পদক পায়নি ভারত। এই প্রথম এশিয়ান ফেন্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জিতলেন কোনও ভারতীয়। মহিলাদের বিভাগের সেমি-ফাইনালে পৌঁছনোর পথে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা এমুরাকে সহজেই হারিয়ে দেন ভবানী দেবী। কোয়ার্টার ফাইনালে ১৫-১০ ফলে জয় পান এই ভারতীয় ফেন্সিং খেলোয়াড়। এর আগে এমুরার বিরুদ্ধে ৩টি সাক্ষাৎকারেই হেরে যান ভবানী দেবী। এই প্রথম এমুরার বিরুদ্ধে জয় পেলেন তিনি। এরপর সোমবার পদক পেয়ে ইতিহাস গড়লেন ভবানী দেবী। সেমি-ফাইনালে উজবেকিস্তানের খেলোয়াড় জয়নাব দাইবিকোভার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত লড়াই করেও হেরে যান ভবানী দেবী। ম্যাচের ফল হয় ১৫-১৪। সামান্য ব্যবধানে হেরে গেলেও, পদক পেলেন ভবানী দেবী।
২৯ বছরের ভবানী দেবী রাউন্ড অফ ৬৪-এ বাই পান। রাউন্ড অফ ৩২-এ কাজাকস্তানের ডসপে কারিনাকে হারিয়ে দেন ভবানী দেবী। প্রিলিমিনারি কোয়ার্টার ফাইনালে তৃতীয় বাছাই ওজাকি সেরিকে হারান ভবানী দেবী। এই ম্যাচের ফল হয় ১৫-১১। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে এমুরাকে হারিয়ে দেন ভারতীয় ফেন্সিং খেলোয়াড়।
ইতিহাস গড়ার জন্য ভবানী দেবীকে অভিনন্দন জানাচ্ছে সারা দেশের ক্রীড়ামহল। ফেন্সিং অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সচিব রাজীব মেহতা বলেছেন, ‘এটা ভারতীয় ফেন্সিংয়ের জন্য অত্যন্ত গর্বের দিন। ভবানী যে সাফল্য অর্জন করেছে, সেটা এর আগে কেউ করে দেখাতে পারেনি। ও প্রথম ভারতীয় ফেন্সার হিসেবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জিতল। এটা অত্যন্ত সম্মানজনক ব্যাপার। ফেন্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের পক্ষ থেকে আমি আমি ওকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে বহু ক্রীড়াপ্রেমী ভবানী দেবীকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
এশিয়ান ফেন্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে তৃতীয় স্থানে শেষ করাই চলতি মরসুমে ভবানী দেবীর সেরা পারফরম্যান্স। এর আগে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে উজবেকিস্তানের তাসখন্দে অনুষ্ঠিত হওয়া ফেন্সিং বিশ্বকাপে ২৬ নম্বরে শেষ করেন এই ভারতীয় ফেন্সার। এবার চিনে অনুষ্ঠিত হওয়া এশিয়ান ফেন্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখালেন তিনি। ভবিষ্যতে আরও সাফল্য চান এই ফেন্সার। তাঁর এই সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে উঠেছেন জাতীয় ফেন্সিং সংস্থার কর্তারা। তাঁদের আশা, আরও অনেকে এবার ফেন্সিংয়ে এগিয়ে আসবেন। এর ফলে দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে ফেন্সিং।
আরও পড়ুন-
কোচিং কেরিয়ারের অন্যতম সেরা মুহূর্ত, ইন্দোনেশিয়া ওপেনে ডাবলস ফাইনালের পর এশিয়ানেটকে বললেন গোপীচাঁদ
তিরন্দাজি বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত বিভাগে সোনা অভিষেক ভার্মার, উচ্ছ্বসিত ক্রীড়ামহল
PV Sindhu: র্যাকেটের বদলে হাতে স্টিয়ারিং, কে এফ ১ কার্টিং সার্কিটে পিভি সিন্ধু