মার্কিন মুলুকে পুলিসের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার প্রতিবাদের সরব ক্রীড়া বিশ্ব। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের পাশাপাশি প্রতিবাদের সুর মিলিয়েছেন সর্বস্তরের ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরাও। ইতিমধ্যেই লিভারপুল প্লেয়াররা মাঝ মাঠে হাঁটু গেড়ে বসে প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফুটবলার জ্যাডন স্যাঞ্চো, আশরাফ হাকিমি, মার্কাস ব়্যাশফোর্ড সহ একাধিক ফুটবলার। প্রতিবাদ জানিয়েছেন, ফর্মুলা ওয়ান তারকা লুইস হ্যামিল্টন, উঠতি টেনিস তারকা কোকো গাফ সহ অন্য়ান্যরা সশ্যাল মিডিয়া প্রতিবাদ জানিয়েছে দুই ক্যারেবিয়ান তারকা ক্রিকেটার ক্রিস গেইল ও ড্যারেন সামি। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন দুই কিবদন্তী গল্ফ তারকা টাইগার উডস ও বাস্কেট বল তারকা মাইকেল জর্ডন।
আরও পড়ুনঃজর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ লিভারপুল প্লেয়ারদের
জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ব জুড়ে ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের প্রতিবাদ দেখে চুপ থাকতে পারেননি গল্ফ কিংবদন্তী টাইগার উডসও। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোস্যাল মিডিয়ায় মুখ খোলেনি তিনি। তীব্র ভাষায় নিজের ক্ষোভ উগরে দেন টাইগার উডস। ঘটনার নিন্দা ও দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি জানানোর পাশপাশি, ৪৪ বছর বয়সী গল্ফ তারকা টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে লেখেন,‘আইন প্রয়োগকারীদের জন্য আমার সর্বদা গভীর শ্রদ্ধা ছিল। তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সযত্নে উপলব্ধি করার কোথায় কীভাবে বল প্রয়োগ করতে হবে। এই মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে।’
আরও পড়ুনঃজর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ দুই ক্যারেবিয়ান তারকার,ক্রিকেট বিশ্বকে প্রতিবাদে নামার ডাক
শুধু উডসই নয়, প্রতিবদে আগেই সরব হয়েছিলেন কিংবদন্তী বাস্কেট বল তারকা মাইকেল জর্ডন। রীতিমতো সুর চড়িয়েছেন বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে। জর্ডন তো স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, অনেক হয়েছে। এবার বদল দরকার। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, ‘আমি দেখতে পাচ্ছি, আমি উপলব্ধি করছি সবার যন্ত্রণা, অবিচার ও হতাশা। আমার বর্ণের যে সব মানুষ বর্ণবিদ্বেষের শিকার হচ্ছেন এবং যাঁরা এর প্রতিবাদ করছেন, আমি তাঁদের পাশে রয়েছি। অনেক হয়েছে।’ বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডন অন্যান্য ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে যোগ দেন জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদ মিছিলেও।
আরও পড়ুনঃজর্জ ফ্লয়েডের শেষকৃত্যের সব দায়িত্ব নিলেন কিংবদন্তী বক্সার
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে মিনিয়াপলিসের এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার জর্জ ফ্লয়েডকে তার গলার কাছে হাঁটু গেড়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। প্রায় ৯ মিনিট তার গলা হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে রাখেন পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চোবিন। তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগও আনা হয়েছে। জর্জকে শ্বাসরোধ করে মৃত্যুর প্রতিবাদ এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ব্যাপক মাত্রায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। হোয়াইট থেকে শুরু করে রাজপথ সর্বত্র বিক্ষোভের আঁচ। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক জায়গায়। এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নয় পরিস্থিতি।