বিশ্ব জুড়ে নিজের মারণ থাবা ক্রমশ বাড়িয়েই চলেছে করোনা ভাইরাস। মহামারী কোভিড ১৯-এরল প্রভাবে পৃথিবীতে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক লক্ষ। ক্রীড়া বিশ্বেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে মারণ ভাইরাস। যার ফলে আধুনিক অলিম্পিকের ১২৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার ১ বছর পিছিয়ে গিয়েছে প্রতিযোগিতা। গত ৩০ মার্চ অলিম্পিকের পরবর্তী ক্রীড়াসূচি ঘোষণা করে জানানো হয়, আগামী বছর ২৩ জুলাই শুরু হবে অলিম্পিক। শেষ ৮ আগস্ট। কিন্তু ১৬ মাস পরেও সঠিক সময়ে অলিম্পিক শুরু করা যাবে কিনা তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। জাপানে বর্তমানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে একশোরও বেশি মানুষের। বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। বিরোধীদের দাবি, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার এখনও মন্থর গতিতে কাজ করে চলেছে। ফলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। এই পরিসস্থিতিতে আগামী বছর অলিম্পিকের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন খোদ টোকিয়ো অলিম্পিক্স আয়োজক কমিটির চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার তোশিরো মুতো।
টোকিও গেমসের চিফ এক্সিকিউটিভ জানান, "১৬ মাস পিছনোর পরও আগামী বছর অলিম্পিকের আসর বসবে কি না, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না ।পরের বছর জুলাইতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কি না, এখনই কারও পক্ষে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তাই এখন স্পষ্ট করে কিছু বলা কঠিন।” তাহলে বিকল্প কোনও দিনক্ষণের চিন্তাভাবনা করছে কমিটি? এই প্রশ্নে উত্তরে মুটো বলেন, “আমাদের আশা, আগামী বছরের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। বিদায় নেবে করোনা। আপাতত আমরা যেটা করতে পারি, তা হল, গেমসের জন্য সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া। সেই সঙ্গে করোনা রোধের চেষ্টা করা। বিকল্প দিনক্ষণ কিছু ভাবা হয়নি।” মুতো আরও জানিয়েছেন, "এই মুহূর্তে জাপানের অবস্থা ভাল নয় বলেই অলিম্পিক্স এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁর আশা, আগামী বছরে সেই ছবি পাল্টে যাবে।আমরা সকলেই কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি। আশা করি, করোনা অতিমারি থেকে আমরা আগামী বছর মুক্ত হতে পারব।”
আরও পড়ুনঃভিত্তিহীন খবরের জের,নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন মেসি
আরও পড়ুনঃক্রিকেটারদের ফিট থাকার সিক্রেটগুলি বললেন প্রাক্তন ভারতীয় ফিটনেস ট্রেনার রামজি শ্রীনিবাসন
দীর্ঘ টালবাহানর পর অলিম্পিকের নতুন দিন ঘোষণা হওয়ায় নতুন করে আশায় বুক বাধছিলেন বিশ্ব জুড়ে অ্যাথলিটরা। কিন্তু খোদ টোকিয়ো অলিম্পিক্স আয়োজক কমিটির চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার তোশিরো মুতোর কথার পর কিছুটা হলেও হতাশ অ্যাথলিটরা। আশা আর অপেক্ষাই এখন একমাত্র সম্বল সকলের। তবুও অ্যাথলিটরা আশাবাদী সব বাধা কাটিয়ে ২০২১-এ সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হবে 'দ্য গ্রেটেস্ট গেম অফ দা আর্থ'।