রাশিয়া (Russia) ও ইউক্রেনের (Ukraine) মধ্যে যুদ্ধের পর কেটে গিয়েছে ৫ দিন। দেশ রক্ষার্থে যুদ্ধে নামার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ইউক্রেনের জনগণ। এবার টেনিস খেলে যা অর্থ পাবেন তা দেশের কাজে দেওয়ার কথা জানালেন ইউক্রেনের টেনিস তারকা এলিনা সোয়াইতোলিনা (Elina Svitolina)।
ইউক্রেনর উপর রাশিয়ার হামলার প্রতিবাদে ভ্লাদিমির পুতিন ও তার দেশের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে বিশ্বের একাধিক দেশ। প্রতিবাদের স্বর ক্রমশ ক্রীড়া ক্ষেত্রও। বিশ্ব জুড়ে ক্রীড়াক্ষেত্রেও সমালোচিত হচ্ছে পুতিনের দেশ। একাধিক ক্রীড়া সংস্থা ইতিমধ্য়েই রাশিয়াকে কোণঠাসা করা শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাশিয়াকে নির্বাসিত করেছে ফিফা (FIFA) ও উয়েফা (UEFA)। যার ফলে কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup) খেলতে পারবে না রাশিয়া (Russia)। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও খেলতে পারবে না রাশিয়ার কোনও ক্লাব। এরপর আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স সংস্থা, জুডো ফেডারেশনও রাশিাকে এক ঘরে করেছে। এরই মধ্যেই মানবিকতার উদাহরণ রাখলেন ইউক্রেনের টেনিস তারকা এলিনা সোয়াইতোলিনা (Elina Svitolina)।
ইউক্রেন তথা বিশ্বের অন্যতম খ্যাতনামা টেনিস তারকা এলিনা সোয়াইতোলিনা। বর্তমানে যুদ্ধ বিধ্বস্ত তার দেশ। চারিদিকে শুধুই ধ্বংসস্তুপ। অনবরত চলছে বোমা বর্ষণ। দেশ জুড়ে শুধুই হাহাকার। ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে দেশের বিপদে পাশে দাড়াঁচ্ছেন দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রীড়াবিদরা। পিছিয়ে থাকলেন না টেনিস তারকা এলিনাও। তিনিও ঘোষণা করলেন, টেনিস প্রতিযোগিতা খেলে যে পুরস্কার অর্থ পাবেন, তা দেবেন দেশের সেনাবাহিনী এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত মানুষের প্রয়োজনে। ইউক্রেনকে আক্রান্ত হতে দেখে শঙ্কিত তিনি। রাশিাকর ভূমিকার সমালোচনা করেছেন তিনি। আগামি দিনে সর্বোতভাবে তার মাতৃভূমির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ইউক্রেনের টেনিস তারকা এলিনা সোয়াইতোলিনা।
প্রসঙ্গত, শুধু এলিনা নয়, দেশের রক্ষার জন্য এগিয়ে এসেছেন অন্য়ান্য ক্রীড়াবিদরাও। দেশের স্বার্থে ফুটবল তুলে রেখে যুদ্ধে যাওয়ার সিদ্ধান্ত করলেন ইউক্রেনের প্রাক্তন ফুটবলার তথা কোচ ওলেগ লুঝনি (Oleg Luzhnyi)। সোভিয়েত ইউনিয়ন থাকাকালীন ৮ ম্য়াচ খেলছেন। ইউক্রেনের হয়ে খেলেছেন ৫২টি ম্য়াচ। অবিভক্ত সোভিয়েত ইউনিয়নে ডিনামোর ফুটবলার হিসেবে তিনি আটবার ঘরোয়া লিগও জিতেছেন। ১৯৯৯ সালে ফুটবলার হিসেবে আর্সেনালে যোগ দেন তিনি। এছাড়াও একাধিক ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলেছেন তিনি। কোচিংয়ে ওলেগ লুঝনির আট বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। উল্লেখ্য ২০১৭-১৯ পর্যন্ত ইউক্রেনের ক্লাব ডিনামো কিয়েভের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে কোচিং করতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু তা না করে দেশের বিপদের দিনে ফুটবল ছেড়ে বন্দুক হাতে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ছেন ওলেগ লুঝনি।
আরও পড়ুনঃএবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর, কী জানালেন ফুটবল তারকা
আরও পড়ুনঃবিপন্ন মাতৃভূমি, ফুটবল ছেড়ে যুদ্ধে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের জাতীয় ফুটবলারের
এছাড়া লিভারপুলের ম্যানেজার য়ুর্গেন ক্লপ তোপ দেগেছেন পুতিনকে। বলে দিয়েছেন,'একটা বাজে লোকের জন্য এই যুদ্ধটা হচ্ছে। রাশিয়া এবং ইউক্রেন দু’দেশের কেউ যুদ্ধ চায় না।' পাশাপাশি শান্তির বার্তা দিয়েছেন বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। নিজের ইনস্টা স্টোরিতে তিনি লিখেছেন ‘আমাদের শিশুদের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী তৈরি করতে হবে। বিশ্বে শান্তি আনার জন্য প্রার্থনা করছি।’