জেনারেল ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, এই ত্রুটির জন্য তারা ক্ষমা চাইছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ক্ষতিপুরণ দেওয়ার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন এটি অত্যন্ত ভুল ছিল।
কাবুলে ড্রোন হামলা নিয়ে এবার একদমই উল্টোপথে হাঁটল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত মাসেই তালিবানরা কাবুলের দখল নিয়েছিল। কিন্তু কাবুল বিমানবন্দের দখলদারি ছিল মার্কিন সেনাদের হাতে। নৈরাজ্য ছড়িয়ে পড়েছিল। এই অবস্থায় মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা চালান হয়। তারপরই মার্কিন সেনা পাল্লা ড্রোন হামলা চালায়। সেই ঘটনায় ১০ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়। তখন ড্রোন হামলার পক্ষ সওয়াল করলেও এখন পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে হামলার ঘটনা অত্যান্ত দুঃখজনক। একই ঘটনা হামলার জন্য ক্ষমাও চেয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
গত ২৯ অগাস্ট তদন্ত চলাকালীন প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার জেনালের ফ্রাঙ্ক ম্যাককেঞ্জি বলেছিলেন ড্রোন হামলারয় যারা মারা গেছে তারা ইসলামিক স্টেটের সদস্য। মার্কিন সেনাবাহিনীর পক্ষ বিপজ্জনক। ঘটনার কয়ের দিন পরে যখন হামলায় সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছিল তখনও পেন্টাগন হামলার পক্ষে সওয়াল করেছিল। বলেছিল ড্রোন হামলা সঠিকভাবে পরিচালিত হয়েছে।
Bad Bank: ৩০ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন ঘোষণা অর্থমন্ত্রী নির্মলার, ব্যাড ব্যাঙ্ক নিয়ে রইল সব তথ্য
ভগবানের আপন দেশই রহস্যে মোড়া, এক আজব গ্রাম যেখানে মায়েরা যমজ সন্তান প্রসব করে
আলৌকিক ঘটনা, পরিবারের ৫ মৃত সদস্যের সঙ্গে একই ঘরে তিন দিন বেঁচে ২ বছরের শিশু
কিন্তু এখন সম্পর্ণ অন্যসুরে কথা বলছে মার্কিন প্রশাসন। জেনারেল ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, এই ত্রুটির জন্য তারা ক্ষমা চাইছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ক্ষতিপুরণ দেওয়ার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন এটি অত্যন্ত ভুল ছিল। তিনি আন্তরিকভাবে ক্ষমাও চাইছেন। একটি সাংবাদিক সম্মেলনে পেন্টাগনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই ঘটনা অত্যান্ত দুঃখজনক।
ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, প্রায় আট ঘণ্টা ট্র্যাক করার পর একটি সাদা টয়োটা করোলা সেডানকে আঘাত করেছিল মার্কিন ড্রোনটি। মার্কিন সেনারা নিশ্চিত ছিল এই গাড়িতে বিস্ফোরক বোঝাই করা ছিল। গাড়িতে সাধারণ নাগরিক ছিল না বলেও দৃঢ় ধারনা ছিল মার্কিন সেনার। কিন্তু গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখেছে মার্কিন সেনা। তাতেই সামনে এসেছে প্রকৃত তথ্য। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী ড্রোন হামলায় ৭ শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গাড়িটিতে যারা ছিল তারা ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। সেই জন্য ড্রোন হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। তিনি আরও বলেছেন মার্কিন সেনা বাহিনীকে জঙ্গিরা টার্গেট করেছিল এই সময়। একটি সাদা টয়োটা করে হামলার প্রস্তুতিও নিয়েছিল। গোয়েন্দা রিপোর্টে তেমনই দাবি করা হয়েছে। ইসলামিট স্টেট হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এমন খবরই ছিল মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে। তাই জন্যই ড্রোন হামলা চালান হয়েছিল।
মার্কিন সেনা ড্রোন হামলা চালিয়েছিল হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সামনে আইএস হামলায় ১৩ মার্কিন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। এই ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত ও নিহত হয়েছিলেন। তারপরেই মার্কিন সেনা আইএস জঙ্গিদের টার্গেট করে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশের গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছিল আরও একটি হামলার চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে জঙ্গিদের। সেই সময়ই ড্রোন হামলা চালান হয়েছিল।