সংক্ষিপ্ত

 বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারম সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার আগামী পাঁচ বছরের জন্য ব্যাড ব্যাঙ্ককে ৩০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা দেবে। 

অবশেষে যাত্রা শুরু করল প্রস্তাবিত ব্যাড ব্যাঙ্ক কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারম সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার আগামী পাঁচ বছরের জন্য ব্যাড ব্যাঙ্ককে ৩০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা দেবে। এক নজরে দেখে নিন ব্যাঙ্ক ব্যাঙ্ক কী ? আর কেন এই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে?  

১. কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা কেন্দ্রীয় সরকারে  ৩০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা গ্যারান্টি হিসেবে অনোমোদন করেছে। এই টাকা জাতীয় সম্পদ পুনর্গঠন কোম্পানি লিমিটেড (NARCL) পাঁচ বছরের জন্য দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারম সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথা জানিয়েছেন।

২. NARCL কোম্পানি আইনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি একটি সম্পদ পুনর্গঠন কোম্পানি (ARC) হিসেবে লাইসেন্সের জন্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে আবেদন করেছে। সাধারণ ভাষায় এটি ব্যাড ব্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত। 

৩.NARCL এর মাধ্যমে পাব্লিক সেক্টরের ব্যাঙ্কগুলিকে একত্রিত করার জন্য গঠন করা হয়েছে। এটি NPAর মাধ্যমে কাজ করা হবে। মূল উদ্দেশ্য অনাদায়ী ঋণ আদায় আর অনুৎপাদক সম্পদ উদ্ধার। 


৪. অন্তনির্হিত সম্পদ থেকে প্রাপ্ত অর্থ সেই সম্পত্তির জন্য জারি করা নিরাপত্তা রশিদের মূল মূল্যের মধ্যে ঘাটতি কভার করা জন্য সরকারি গ্যারান্টি আহ্বান করা হবে। যা ৩০, ৬০০ কোটি টাকা। এই টাকা পাঁচ বছরের জন্য বৈধ থাকবে। 

৫. নির্মালা সীতারমন জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এনএআইসিএর-এর সুরক্ষার জন্য গ্যারেন্টার হওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। ঋণ উদ্ধার ব্যবস্থাপনা আর সম্পদের পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যেই এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। 

৬. একটি সম্পদ পুনর্গঠন সংস্থা (অ্য়াসেট রিকনস্ট্রাকশন কোম্পানি বা এআরসি) তৈরি করে তার মাধ্যমে অনুৎপাদক সম্পদ (এনএপি) উদ্ধার করে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি নিজেদের খাতা পরিষ্কার রাখতে চেয়েছিল। ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন গত বছরই এই বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে প্রস্তব পেশ করেছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রক ব্যাড ব্যাঙ্ক কর্মসূচি রূপায়িত করা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।  অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এনপিএ কিনে সেই ঋণ উদ্ধার বা বিক্রির চেষ্টা করবে ব্যাড ব্যাঙ্ক। তাতে ব্যাঙ্কগুলির খাতা পরিষ্কার থাকবে। পাশাপাশি অনাদায়ী ঋণও উদ্ধার করা যাবে। 

৭. অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ২ লক্ষ কোটি টাকার বেশি বলেও অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর। সরকারি গ্যারান্টি আনার মূল শর্তই হল স্ট্রেসড সম্পদের দ্রুত সমাধান। এই প্রকল্পে সরকারি শেয়ার থাকবে ৫১ শতাংশ। বাকি ৪৯ শতাংশ শেয়ার থাকবে বেসরকারি ব্যাঙ্কের হাতে। 

৮. চলতি অর্থবর্ষের বাজেটে এজাতীয় একটি সংস্থা তৈরির প্রস্তাব করেছিল কেন্দ্র। সংস্থাটি পরিচালনা করবে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি। ইতিমধ্যেই মুম্বইতে পরীক্ষামূলকভাবে কাজ শুরু হয়েছে। 

৯. এনআরসিএলএর প্রধান ব্যাঙ্কগুলি একটি প্রস্তাব দেবে। সম্পদ অর্জন করবে। আইডিআরসিএল ব্যবস্থাপনা ও মূল্য সোংযোজন করার কাজ খতিয়ে দেখব। 

১০. নির্মলা সীতারমন জানিয়েছে গত ৬ বছরে সরকার স্বীকৃতি, রেজোলিউশন, রিক্যাপাটিলাইজেশব আর সংস্কারের মাধ্যমে ৫,০১,৪৭৯ কোটি টাকা পুনরুদ্ধার করতে সহযোগিতা করেছে।